ভিন রাজ্যের জয়ে উজ্জীবিত বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেড। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি থেকেই। সোজ কথায় ফাইনালের আগে সকলের নজর ছিল সেমিফাইনালের ফলের দিকে। রবির সকাল থেকেই কংগ্রেস শুরুটা ভাল করলেও বেলা বাড়তেই ঘুরতে থাকে খেলা। তেলঙ্গনা বাদে মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগঢ়ে ফুটতে চলেছে পদ্ম। বড় ব্যবধানে সেখানে বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েছে হাত শিবির। তাতেই যেন বড়দিনের আগেই দেশজোড়া সেলিব্রেশন মুডে পদ্ম কর্মীরা। এরই পাশাপাশি বাংলাতেও শুরু হয় উদযাপন। ভিন রাজ্যে ভোটের ফলাফল বেরোতেই বঙ্গ পদ্ম শিবিরেও উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা যায়। বিজেপির দুই রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেন এবং সল্টলেক অফিসেও দলীয় কর্মী সমর্থকরা গেরুয়া আবীর নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। সঙ্গে চলে লাড্ডু বিতরণ ও আতসবাজির প্রদর্শন।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে বিজেপির জয়ের রাস্তা মসৃণ হওয়ার ইঙ্গিত পেতেই উৎসবের আমেজ বঙ্গ বিজেপিতেও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান ‘এই জয় ঐতিহাসিক। নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের জয়। সাধারণ মানুষের আস্থা যে নরেন্দ্র মোদির উপরেই রয়েছে তা এই রায়েই ফের স্পষ্ট হল।’ এরই পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার এও জানান, ‘ভিন রাজ্যের এই বিপুল জয় চব্বিশের ভোটে বাংলায় ৩৫টি আসন পেতে সাহায্য করবে।’
বলাবাহুল্য, লোকসভার নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল বলা হচ্ছিল পাঁচ রাজ্যের এই বিধানসভা নির্বাচনকে। ফলে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি স্যাফ্রন ব্রিগেডের তরফ থেকে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে নিজের একাধিক সাংসদ, এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও প্রার্থী করা হয়। ফল প্রকাশ হতেই নজরে আসে, বিজেপির এই কৌশল পুরোপুরি খেটে গিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদরা। এমনই এক প্রেক্ষাপটে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বঙ্গ বিজেপি ভিন রাজ্যের ভোটের ফলকে হাতিয়ার করে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের। এই ফলাফলে যেন নতুন করে তাঁরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য। এদিকে স্যাফ্রন ব্রিগেডের অন্দরের খবর, বঙ্গে বিজেপিকে চাঙ্গা করতে ভিন রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলকে সামনে রেখে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় বিজয় মিছিল করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে।