২০২৪ লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে দলের প্রধান মুখপাত্রকে বদলের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বঙ্গ-বিজেপি। এদিকে সদ্য রাজ্যসভার সাংসদের সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তবে বঙ্গ ব্রিগেডের মুখপাত্রর পদ থেকে তাঁকে না সরিয়ে সেই পদেই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল পদ্ম শিবির। অর্থাৎ প্রতিদিন নিয়ম করে যেভাবে শমীক যেভাবে রাজ্য রাজনীতির নানা বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করতেন আগামী দিনেও সেই একই কাজ করতে দেখা যাবে তাঁকে। তবে রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন কলকাতায় শমীক ভট্টাচার্যের শূন্যস্থান কাকে দিয়ে পূরণ হবে, সেটা অবশ্য এখনও ঠিক করতে পারেননি সুকান্তরা।
এদিকে সন্দেশখালির ইস্যুকে হাতিয়ার করে বঙ্গ রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে বঙ্গ-বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে হাজির হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁরা সরছেন না। সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে কী ঘটছে, নিয়মিত তা দিল্লিতে জানাতে হচ্ছে সুকান্তদের। সন্দেশখালির বিষয়ে দলের কোন নেতা কী মন্তব্য করছেন, সে দিকেও নজর রাখছেন বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সন্দেশখালি নিয়ে বঙ্গ-রাজনীতি যখন উত্তপ্ত, ঠিক তখনই আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংয়ের উদ্দেশে ‘খালিস্তানি’ মন্তব্য ছুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বঙ্গ-বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। যা অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ। কারণ, তৃণমূল এই ইস্যুতে পাল্টা চাপে ফেলেছে বিজেপিকে। সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে অমিত শাহরা বাংলার বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সন্দেশখালি আবহে কোনও মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে নির্বাচনী আবহে তৃণমূলের হাতে নতুন কোনও অস্ত্র না চলে আসে। আর এক্ষেত্রেই রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্রের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতিদিন তাঁকেই যাবতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁকেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়। যে কাজটা শমীক একা হাতে ভালোই সামলাচ্ছেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের বড় অংশের অভিমত। রাজ্য বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ‘লোকসভা ভোট আসছে। ফলে এখন প্রতিদিনই রাজ্য রাজনীতিতে কিছু না কিছু নতুন ডেভেলপমেন্ট ঘটতেই থাকবে। সংবেদনশীল ইস্যুগুলিতে দলের অবস্থান মানুষকে জানানোর জন্য একজন অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ নেতার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শমীক ভট্টাচার্যের মতো এই কাজটা আর কেউ সামলাতে পারবেন না।’
এদিকে শমীক নিজে জানাচ্ছেন, ‘দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে, সেটা পালন করাই আমার কাজ।’