পাসপোর্ট জালিয়াতি-কাণ্ডে ধৃত আজাদ মল্লিকের স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সূত্রে খবর মিলছে, ২০২২ সালে ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ। ইডি সন্দেহ করছে আজাদের পাকিস্তানি পরিচয় হয়ত কোনও ভাবে জেনে ফেলেছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই কারণেই হয়ত স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল আজাদ।
আজাদের ঘটনায় পাসপোর্ট মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি। এই তদন্ত চলাকালীন সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। সঙ্গে তৈরি হচ্ছে হাজারো প্রশ্নও। এরই মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আজাদ মল্লিকের স্ত্রী সুচন্দ্রা বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনা। কারণ, বিরাটির যে ভাড়া বাড়ি থেকে আজাদকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেই বাড়ি থেকেই ২০২২ সালে সুচন্দ্রার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। মেয়ের মৃত্যুর পরও কেন চুপ করে গিয়েছিল সুচন্দ্রার পরিবার তাও বড় এক প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আজাদ তাঁদের হুমকি দিয়েছিল কি না তা নিয়েও।
এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে,শ্বশুরবাড়ির পরিচয় ব্যবহার করে ভোটার কার্ড বানিয়েছিল আজাদ। নৈহাটি বিধানসভার ভোটার ছিল সে। ভুয়ো নথি দিয়েই এই আধার কার্ড বানিয়েছিল। ইডির অনুমান, সুচন্দ্রা পাকিস্তানি পরিচয় জেনে ফেলায় হয়ত তাঁকে হত্যা করেছে অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য,সম্প্রতি আজাদকে গ্রেফতার করা কলকাতায় বসে জাল পাসপোর্ট চক্র চালানোর অভিযোগে। এমনকী ধরা পড়ার পরও তার পাকিস্তানি পরিচয় লুকোতেই আজাদই পরিচয় দিয়েছিল বাংলাদেশি বলে। এরপর ধীরে ধীরে সামনে আসে প্রকৃত তথ্য। আজাদ আদতে পাকিস্তানি। প্রায় ১২-১৩ বছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছিল সে। ভোল বদল করে থাকতে শুরু করে এ বাংলায়। একাধিক ভাষাও করায়ত্ত্ব করে সে। পরবর্তীতে বিরাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।