বিজেপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে হুমকি পোস্টার হুগলিতে

২৯ তারিখ কলকাতায় বিজেপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তুঙ্গে উঠছে রাজনৈতিক পারদ। আদালতে হস্তক্ষেপে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার তৃণমূলকে আক্রমণ করার পাশাপাশি বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেডের অভিযোগ, সমাবেশে যাতে মানুষ যোগ না দেন তার জন্য ভয় দেখাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সভায় গেলে এলাকা ছাড়া করে দেওয়া হবে হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়েছে দেওয়ালে। আর এই পোস্টারিং করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।  বঙ্গ বিজেপির স্পষ্ট অভিযোগ, ‘বিজেপির ধর্মতলা সভায় গেলে এলাকা ছাড়া করে দেওয়া হবে’, এই মর্মে পোস্টার ঘিরে এখন রাজনৈতিক তরজা শাসক-বিরোধী শিবিরে। বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কেওটা বটতলা এলাকায় রবিবার সকালে এই ধরনের পোস্টার দেখা যায়। আগামী ২৯ নভেম্বর ‘কলকাতা চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওই দিন ধর্মতলায় হবে প্রতিবাদ সভা। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার মারা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হুগলি চুঁচুড়া ব্যান্ডেলেও পোস্টার মারা হয়। বিজেপির এই সব পোস্টারের উপর সাদা কাগজে ছাপানো লেখা পোস্টার মারা হয়েছে। তাতে লেখা, কেন্দ্র আমাদের আবাসের টাকা দিচ্ছে না। এলাকা থেকে যারা এই সভায় যাবেন তাদের এলাকা ছাড়া করে দেওয়া হবে। তলায় লেখা জয় বাংলা। এরপর রবিবার সকালে স্থানীয়দের নজরে পড়ে এই পোস্টার।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ জানান, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে।ওরা মানুষের আবাসের টাকা, একশো দিনের কাজের টাকা খেয়েছে। মানুষের জবাব দেবে। আর প্রতিবাদ সভা বন্ধ করতে হাইকোর্টে গেল, কোনও কাজ হল না। এখন ভয় দেখাচ্ছে সভায় যাতে লোক না হয়।’ তবে যতো হুমকি দেওয়া পোস্টারই মারা হোক না কেন ধর্মতলা সভায় বহু মানুষের ভিড় হবে,এমনটাই  দাবি বিজেপি নেতার। এদিকে এই প্রসঙ্গে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, ‘বিজেপি পোস্টারের উপর নিজেরাই পোস্টার মেরে প্রচার চাইছে। ওদের সঙ্গে একেই লোক নেই। তৃণমূলের কাজ নেই যে পোস্টার মারতে যাবে। মানুষ সব দেখছে। বুঝছে। ২৪ সালে সব জবাব দিয়ে দেবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 13 =

preload imagepreload image