নতুন বছরে তিনটি সরকারি বাস রুট যাচ্ছে বেসরকারি হাতে। চলতি মাস থেকেই এই রুটগুলোতে সরকারি বাস চালাবে বেসরকারি সংস্থা। তবে শুধু এই তিন রুটই নয়। পিছনে আরও ১২টি রুটকে লাভজনক করতে পিপিপি মডেলে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনটাই খবর সূত্রে। সূত্রে এও খবর মিলছে, ভবিষ্যতে দূরপাল্লার কিছু রুটকেও তালিকায় আনা হচ্ছে। তবে সে প্রক্রিয়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উল্লেখ্য, কলকাতায় এখন মোট ১২০টি সরকারি বাসরুট আছে। ৪০টি এসি এবং ৮০টি নন-এসি। আরও বেশি সংখ্যায় বাস রাস্তায় নামানোর লক্ষ্যেই এই পিপিপি মডেলে যাচ্ছে পরিবহণ দফতর। কারণ রাস্তায় বাস না থাকার অভিযোগ প্রায়ই যাত্রীদের থেকে আসে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এস ৪৭ (ইডেন সিটি-হাওড়া), এস ৩২ (বারাকপুর -হাওড়া) এবং কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়া একটি রুটকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। মোট ২৫টি বাস এই তিন রুটকে দেওয়া হচ্ছে। বাসপিছু এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে পাবে পরিবহণ দফতর। চালক এবং কন্ডাক্টর থাকবে ওই সংস্থার। এছাড়া বাসের রক্ষণাবেক্ষণও করবে তারা। তবে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, পিপিপি মডেলে চলা এই বাসে সরকারি বাসের তুলনায় বেশি ভাড়া নেওয়া হতে পারে। যেমনটা এখন বেসরকারি বাসে নেওয়া হয়।
এদিকে পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, যখন পিপিপি মডেলের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তখন উল্লেখ করা হয়েছে, কোনওভাবেই বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। যদি অভিযোগ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তখন ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে আরও ১২ রুট এই মডেলে চালানো হবে।
এদিকে এই হস্তান্তর প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, দিনভর বাস চালিয়ে, ড্রাইভার ও কন্ডাক্টররা যে হিসাব দেন, তাতে বলা হয়, বাস চালিয়ে লাভ হচ্ছে না। তাই এবার বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়ে রাজ্য সরকার দেখতে চায়, বাস চালিয়ে আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে কি না। বাস চালানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজেদের চালক ও কন্ডাক্টর নিয়োগ করতে পারবে। তবে দিনের শেষে বাস জমা রাখতে হবে কোনও সরকারি ডিপোতেই। আবার সকালবেলায় এসে দফতরের নির্দিষ্ট বিভাগকে জানিয়ে ডিপো থেকেই বাস রাস্তায় নামাতে হবে।