কথা ছিল সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ তিন পুলিশ আধিকারিকের সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটির সামনে হাজির হওয়ার।যাওয়ার কথা মুখ্যসচিবেরও। এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার-সহ রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা দিল্লি যাচ্ছেন না। সূত্রে এ খবরও মিলছে, রবিবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে আগামী ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসছে। আর সেই কারণে মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ রাজ্য প্রশাসনের পাঁচ আধিকারিকের দিল্লি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সূত্রের দাবি, চিঠিতে দিন পিছনোর আর্জিও জানানো হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন টাকিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেদিন ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থ হয়ে যান তিনি। সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের সাংসদ। সেদিনের ঘটনার বিবরণী জানিয়ে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটিকে চিঠি দেন তিনি।সেখানে সুকান্তর অভিযোগ ছিল, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকেও টাকির ঘটনা নিয়ে বিস্তারিতভাবে চিঠি দেন। অভিযোগ, সন্দেশখালি ইস্যুতে সাংসদকে অন্যায়ভাবে হেনস্থা করেছে পুলিশ। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন লোকসভার অধ্যক্ষ।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বাকিদের তলবের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ ত্রিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি হোসেন মেহেদি রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় সংসদ ভবনে হাজির হতে বলা হয়।