পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফল সামনে আসার পর একটা ব্য়াপার স্পষ্ট যে ,গ্রাম বাংলার মানুষ রয়েছেন শাসকদলের পাশেই। কারণ, বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে পিছনে ফেলে বেশিরভাগ জায়গাতেই অনেক এগিয়ে জোড়াফুল শিবির। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, অনেকগুলি জায়গাতে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সংশ্লিষ্ট আসনে কে জয়ী হয়েছেন, তা চূড়ান্ত হয়নি। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৪৭টি আসন টাই হওয়ায় প্রার্থীরা জয়ের আশায় চেয়ে রয়েছেন ভাগ্যের দিকে। তাঁদের কপালে শিকে ছেঁড়ে কি না, তার অপেক্ষায়। জেলা পরিষদের একটি আসনেও টাই না হলেও পঞ্চায়েত সমিতিতে কিন্তু সাত জেলায় দশটি আসনে টাই হয়েছে।
এই টাই ভাঙার নিয়মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইন বলছে, কোনও আসনের রেজাল্ট টাই হলে পুনরায় ভোট গণনা করে দেখতে হবে। তাতেও ফয়সালা না হলে টস করে জয় পরাজয় নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ কে হবেন অঞ্চল প্রধান বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-তা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে, পঞ্চায়েতে সবচেয়ে আসনে বেশি টাই হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এখানে ৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থীর ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। এরপরই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (২৭), পশ্চিম মেদিনীপুর (২৬), মালদা (২৬), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৫), উত্তর ২৪ পরগনা (২৩), হাওড়া (২৩)। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাই হয়েছে জলপাইগুড়িতে। এই জেলার তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে টাই হয়েছে। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর। যেখানে টাই হয়েছে ২টি-তে। এছাড়াও কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম ও দার্জিলংয়ের একটি করে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে টাই হয়েছে।