উষ্ণতম দিনেই দেখা গেল শহরের মানবিক ছবি। অসুস্থ ঘোড়াকে সুস্থ করতে এগিয়ে এলেন অনেকেই। শেষে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল উদ্ধার করলেন ঘোড়াকে। শনিবার সকালে হাইকোর্টে যাচ্ছিলেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল চৈতালি চট্টোপাধ্যায়। ময়দান এলাকায় হঠাৎ দেখতে পান একটি অসুস্থ ঘোড়াকে। তীব্র রোদের থেকে রেহাই পেতে একটু গাছের ছায়া খুঁজলেও গলায় দড়ি থাকায় তার নাগাল পাচ্ছিল না সে। একইসঙ্গে ঘোড়ার আচরণে সন্দেহ হয় চৈতালি দেবীর।এরপরই গাড়ি থেকে নেমে কী হয়েছে তার খোঁজখবর নেওয়াও শুরু করেন। একটু পরেই বোঝা যায় তীব্র গরমেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে ঘোড়াটি। গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকায় ছায়ার খোঁজে বেশিদূর যেতে পারেনি সে। এরপরই খোঁজ শুরু হয় ঘোড়ার মালিকের। তবে শুরুতে তাঁর খোঁজ মিলছিল না বলেই সূত্রে খবর। এদিকে ততক্ষণে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেখে হাজির হয় পুলিশও। খোঁজ-খবর নিয়ে ফোন যায় ঘোড়ার মালিকের কাছে। এদিকে পুলিশের তরফ থেকে চেষ্টা করা হয় ঘোড়াটিকে জল খাইয়ে সুস্থ করার। কিন্তু পিঠে ঘা থাকায় কোনভাবেই ঘোড়াটি উঠতে পারঠিল না। অবশেষে ময়দানে এসে পৌছায় ঘোড়ার মালিক ফিরোজ। তাঁর দাবি, তাঁর ঘোড়া সুস্থই রয়েছে। ওর চিকিৎসার বিশেষ প্রয়োজন নেই। সঙ্গে এও জানান, তিনি একটা কাজে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই আসতে দেরি।
তবে পুলিশের তরফ থেকে ঘোড়াটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে। তবে এই গরমে শহরের পশুদের প্রতি আর একটু মানবিক হওয়ার আবেদন জানান চৈতালী দেবী। বলেন, ওর পিঠে তো একটা ক্ষত রয়েছে। আমরা ঘোড়াটাকে দেখেই জল খাওয়ানোর চেষ্টা করি। ঘোড়াটি নিজে অনেকবার ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু উঠতে পারেনি।