প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি

প্রয়াত ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। শুক্রবার ভোর ২টো ২০ মিনিটে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তৃণমূলের এই বিধায়কের। এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। ইদ্রিস আলির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পার্ক স্ট্রিট কবরস্থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

এদিকে সূত্রে খবর, একাধিক রোগে ভুগছিলেন বসিরহাট লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ ইদ্রিস আলি। বেশ কিছুদিন ধরে বাইরে বেরতেও পারছিলেন না। তাঁর এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই ভাঙতে শুরু করেছিল তাঁর শরীর। চলতে ফিরতে বেশ কিছুটা কষ্ট হত ইদ্রিস আলির। শেষের দিকে অন্যের উপরে নির্ভর করতে হাঁটতে হত। সম্প্রতি তাঁর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বাড়তে থাকে। শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চলতি বিধানসভা অধিবেশনেও দেখা যায়নি ইদ্রিস আলিকে। অসুস্থতার কারণেই অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি তিনি।

এই রাজনীতিকের উত্থান কংগ্রেসের হাত থেকে। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১ সালে পরিবর্তনের হাওয়া যখন জোরাল সেই সময় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। যদিও রাজ্য পালা বদল হলেও সেই সময় তিনি জয়ী হতে পারেননি। ২০১৪ সালে তাঁকে বসিরহাট কেন্দ্রে লোকসভার প্রার্থী করে তৃণমূল। সেই সময় তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রের জন্য অবশ্য নুসরত জাহানকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে ভগবানগোলা থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কেও জড়ান। ২০০৭ সালে কলকাতায় এক প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়ে গ্রেফতারও হয়েছিলেন ইদ্রিস। তৃণমূলের একনিষ্ঠ এই সদস্য সুরেন্দ্রনাথ কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন তিনি। তাঁর পারিবারিক ব্যবসাও ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seven =