ফের কাঠগড়ায় কলেজের তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ইউনিট। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ফেস্টের জন্য কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা তোলার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেই টাকা দিতে না পারলেও হুমকি। সূত্রের খবর, টিএমসিপি ইউনিটের নেতৃত্বাধীন কলেজের রসিদ ছাপিয়ে টাকা তোলার কাজ করছিল। অভিযোগ, ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রসিদ কেটে টাকা নেওয়ার পরিবর্তে ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য চাপ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।
এক ডাক্তারি পড়ুয়ার অভিযোগ, ‘প্রথম বর্ষের কাছ থেকে পাঁচ হাজার, দ্বিতীয় বর্ষের কাছে চার হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কারও হয়ত আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক নেই। সেই কারণে তাঁরা টাকা দিতে পারছেন না। এরপরই আসে হুমকি। এদিকে গত বছরেও কোনও অডিট হয়নি। কত টাকা নয়ছয় হয়েছে তারও কোনও হিসাব নেই।’ এই খবর সামনে আসার পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের নেতা মিঠুন মজুমদার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ‘আমি যতদূর জানি এই সব কিছুই হচ্ছে না। কোনও রসিদ দিয়ে বা কিছু করেই টাকা তোলা হচ্ছে না। কলেজে এসে জানুন আদৌ এমন কিছু হচ্ছে কি না।’
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পরই মুখ খুলেছেন বিরোধী শিবির বিজেপির নেতা তথা দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, ‘পড়ুয়ারা যদি আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।’ পাশাপাশি টিএমসিপির তরফ থেকে উল্টে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকেই। তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, সবই সুপারইমপোজের খেলা।রসিদের উপরে টিএমসিপি ইউনিটের সিলমোহর লাগিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। আর ধরা পড়ে যাওয়ার পর সিলমোহর ছাড়া রসিদ সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে বলা হচ্ছে কেলেঙ্কারির রসিদ সুপারইমপোজড।
এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল মুখপাত্র ডাঃ শান্তনু সেন জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তিনি জানান, ‘এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। আমিও চাইব তদন্ত করে দেখা হোক। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে মেডিক্যাল কলেজগুলোর উন্নতি হয়েছে। আমি তাই অনুরোধ করব আমাদের আধিকারিকদের যাতে তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।’