খুব ছোট থেকেই সন্তানের হাড় শক্তপোক্ত করার চেষ্টায় কোনও খামতিই রাখেন না বাবা-মায়েরা। ওষুধপত্র আর সাপ্লিমেন্ট তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে নানা ঘরোয়া টোটকাও কাজে লাগান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ছোটদের হাড়ের জোর বাড়াতে চাইলে তার ডায়েটের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এমন খাবার পাতে রাখতে হবে যা ‘অস্থি শক্তি’ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। তবে মুশকিল হল, কোন খাবারগুলি ‘বোন ডেনসিটি’ বাড়াতে পারে, এই বিষয়টা অনেক অভিভাবকেরই জানা নেই। ফলে তাঁরা সন্তানকে অনেক কিছু খাওয়ালেও আসল খাবারগুলিই বাদ রয়ে যায়। ফলে সন্তানের হাড়ের জোর বাড়তে চায় না।
সেই কারণে কিছু কথা মাথায় রাখতেই হবে।
১. নিয়মিত দই খাওয়াতে ভুলবেন না
সন্তানের হাড়ের জোর বাড়াতে চাইলে তাকে নিয়মিত দই খাওয়াতেই হবে। আসলে দইতে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং পটাশিয়াম। আর এই সকল উপাদান কিন্তু হাড়ের জোর বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রোজ সন্তানকে এক বাটি দই খাওয়াতেই হবে। এছাড়া দই হল প্রোবায়োটিকের ভাণ্ডার যা অন্ত্রের হাল ফেরায়। তাই রোজ দই খেলে পেটের সমস্যাও থাকে না। গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার প্রকোপও কমবে।
২. দুধেই হবে মুশকিল আসান
দুধ একটি সুষম পানীয়। এই পানীয়তে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট। আর এই সকল উপাদানই কিন্তু দেহের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলে নেয়। বিশেষ করে দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়াম হাড়ের জোর বাড়ায়।। তাই বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের দিনে ১ গ্লাস দুধ পান করানো উচিত।
৩. খাওয়াতে হবে শাকপাতাও
ছোটদের মধ্যে বেশিরভাগেরই শাক মোটেই পছন্দের খাবার নয়। তবে জানলে অবাক হবেন, শাকপাতাতেই রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এই দুই উপাদান সরাসরি হাড়ের জোর বাড়াতে পারে। এছাড়া শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সিদ্ধহস্ত।
৪. মাছ
বাচ্চাকে ছোট-বড়, সমস্ত ধরনের মাছই খাওয়ান। কারণ মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি। এই দুই উপাদান ছোটদের হাড় গঠনের কাজটি করে। এছাড়া এতে উপস্থিত রয়েছে উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন। ফলে পেশি শক্তি বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই রোজ সন্তানকে অন্তত ১০০ গ্রাম মাছ খাওয়াতেই হবে।
৫. রোজ খাও আন্ডে
ডিমের মতো উপকারী খাদ্যকে রোজই সন্তানের ডায়েটে রাখতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। এগুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হাড়ের জোর বাড়ায়। তবে ছোটদের দিনে একটির বেশি গোটা ডিম না খাওয়ানোই ভালো।