আজ রাজ্য বাজেট, আমবাঙালির প্রত্যাশা অনেক শাসকদলের কাছে

আজ রাজ্য বাজেট। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার ১১ দিন পরে, বুধবার বিধানসভায় বাজেট পেশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ২০২৬-এর আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তা ঘিরে প্রত্যাশার পারদও চড়ছে। বিশেষ করে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি হয় কী না, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা।

প্রসঙ্গত, ২০২১-এ তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে, প্রতিশ্রুতি মতো বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন ২ কোটিরও বেশি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। তফশিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত মহিলারা পান মাসে ১২০০ টাকা এবং জেনারেল শ্রেণিভুক্ত মহিলারা পান ১০০০ টাকা করে। তাঁদের প্রত্যাশা, মূল্যবৃদ্ধির বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে, এ বার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতার অঙ্ক বাড়ানো হোক।

এদিকে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বাজেটে, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন অর্থ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে ডিএ-র ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ফারাক এখনও ৩২ শতাংশ। এ বার রাজ্য বাজেটে কি তেমন কোনও ঘোষণা থাকবে কিনা সেদিকে নজর সবারই।

এছাড়াও আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ এবং কর্মসংস্থান – রাজ্য বাজেটে এই সমস্ত বিষয়গুলি কতটা জায়গা পায়, তা নিয়েও কৌতুহল রয়েছে আম জনতার মধ্যে। বাজেট পেশের আগে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলছে এই সমস্ত ইস্যুতে। উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বারবার বঞ্চনার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়ে না বিজেপিও। রাজ্য বাজেট পেশের আগে ফের একবার শুরু হয়েছে সেই বিতর্ক। বুধবার বিকেল ৪-টেয় বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ। তাতে চা শ্রমিক-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য বাজেট বরাদ্দ কী করা হয়, তা নিয়েও কৌতুহল রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়, মত ওয়াকিবহাল মহলের। এমতাবস্থায়, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর বড় বরাদ্দ আসবে কিনা তা নিয়েও চর্চা চলছে। গ্রামোন্নয়ন মধ্যেই আবাস পরে। ফলে আবাসে নজর দিতে গেলে এখানে বরাদ্দ বাড়াতে হবে সরকারকে।

শুধুই চমক না প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন জয়ের চেষ্টা সেদিকেও থাকছে নজর। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত, আপাতত পরের বছরের ভোটের কথা মাথায় আর্থিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় পথে হাঁটতে পারে সরকার। একইসঙ্গে আর্থিক অবস্থার কারণে খুব বেশি চমক বা প্রতিশ্রুতি দিতে গেলে পরিকাঠামো তৈরিতে সমস্যা হতে পারে কি! চর্চা রয়েছে প্রশাসনিক মহলে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =