একসঙ্গে ৯৩ জন ডাক্তারকে শো-কজ জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের

একসঙ্গে ৯৩ জন ডাক্তারকে শো-কজ করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন। সূত্রে খবর, ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ভাঙার অভিযোগে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়। এদিকে বিজেপির তরফ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে যে, আরজি করের ঘটনায় রাস্তায় নামার জন্যই শোকজ করা হয়েছে। প্রত্যুত্তরে শাসক শিবিরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোন আইনে কী আছে তা চিকিৎসকরা ভালই জানেন। আর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, নিয়ম ভাঙলে কেন তা ভাঙা হচ্ছে তা জানতে চাওয়াটাই স্বাভাবিক।

এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, তমলুকের নামকরা চিকিৎসকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিস গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কেউ ১৫টি, কেউ ১৬টি, আবার কেউ ২৯টি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত। ক্লিনিক্য়াল এস্টাব্লিস্টমেন্ট পোর্টালে এই তথ্য উঠে এসেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মত, এই অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ডাক্তারদের পাশাপাশি প্রায় ৭০টি নার্সিংহোমেও নোটিস পাঠানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্বাস্থ্যসাথী বিল অনুমোদন করতে গিয়ে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপরই জেলা প্রশাসনের তরফে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে তদন্ত করতে বলা হয়। তাতেইধরা পড়ে এই অনিয়ম। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানতে চাওয়া হয়, কীভাবে একজন চিকিৎসক নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত হলেন সে ব্যাপারেও। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রতিটি নার্সিংহোমে কতটা সময় দেন তাঁরা সে ব্য়াপারেও।  চিকিৎসকদের পাশাপাশি একই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছেও।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ বিভাস রায় বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ও রুল আছে। সেটা মানতেই হবে সকলকে। হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোম, সবক্ষেত্রই এটা মেনে চলে। এক একজন ডাক্তার দুইয়ের বেশি জায়গায় আছেন। আমরা নার্সিংহোমগুলিকে বলেছি ডাক্তারদের থেকে খবর নিন। জানান, কীভাবে একসঙ্গে দু’জায়গায় আছেন। কোন সময় কোথায় থাকেন, জানাতে হবে। ৯৩ জন ডাক্তারকে দিই চিঠি। এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই।’

আইএমএ তমলুক শাখার সম্পাদক চিকিৎসক কল্যাণময় বসু বলেন, ‘আমরা আইএমএ থেকে খবর পেয়েছি। একসঙ্গে ৯৩ জনকে নোটিস আন্দোলনের সময় এটা দেখতে হবে। এই আন্দোলনে তো সবস্তরের মানুষ যোগ দিয়েছেন। সিএমওএইচ কেন নোটিস দিলেন, যাচাই করে দেখব।’

বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ‘এতদিন কি সিএমওএইচ ঘুমোচ্ছিলেন? যেই আরজি করের জাস্টিস চেয়ে পথে নেমেছেন, তাই এই নোটিস দিয়েছেন। এমনিই তো নার্সিংহোমগুলো কোনও আইন মানে না।’ যদিও তমলুক শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক আইনজীবী দেবদূত মিদ্যার বক্তব্য, ‘আইন বলে দিয়েছে ডাক্তারদের কী ভূমিকা। তাই সেটা ওনারা ভালই জানেন।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + thirteen =