কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ সরকারকে মারধরের অভিযোগ উঠল দোলের দিন। বিশ্বজিৎ নিহত অভিজিৎ সরকারের দাদা। সোমবার সকালে তাঁর বাড়ির সামনেই তিনি আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। বিশ্বজিতের দাবি, এদিন সকালে বাড়ির সামনের রাস্তা পরিষ্কার করছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর মা-ও ছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিত এও জানান, এদিন বাড়ির সামনে পুলিশ-সিআরপিএফ ছিল। পিছন দিক দিয়ে তাঁদের উপর হামলা হয়। এরপরই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই বিশ্বজিৎ সরকারকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান তিনি। একইসঙ্গে বিশ্বজিতের সংযোজন, ‘মারধর করে প্রথমেই। তারপর বলছে ভোট আসছে। এক ভাইকে ভোটের সময় মেরেছি। আরেকটা ভোট আসছে। এবার আরেকটাকেও মারব। বিজেপি করা ছুটিয়ে দেব। আমার চিৎকার শুনে সিআরপিএফ ছুটে আসে। পুলিশও দাঁড়িয়ে ছিল।’ সঙ্গে বিশ্বজিৎ এও জানান, যাঁরা তাঁর ভাই অভিজিৎ সরকারকে খুন করেছিল তাঁরাই হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনেও পুরো বিষয়টি তিনি জানাতে চলেছেন।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই রহস্যমৃত্যু হয় বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। এই মৃত্যুকে খুন বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। প্রায় ১০ জন গ্রেফতারও হয়। মামলা গড়ায় আদালত অবধি। এদিকে এরইমধ্যে বিশ্বজিৎদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপরই বিশেষ নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় আদালত।