এবার প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল নেতা। বুধবার রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ রাহা একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন। হস্টেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি, রাজ্যপাল তথা আচার্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেই মামলায়। প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে। তাই এই ঘটনা আদতে তাঁরই ব্যর্থতা।
র্যাগিং-এর জেরেই ওই প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। হস্টেলের একাধিক আবাসিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে ওই ঘটনায়। এই নিয়ে আগেই একটি মামলা করেছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দায়ের হল দ্বিতীয় মামলা। সুদীপ রাহার করা মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন হস্টেলে কোনও সিসিটিভি ছিল না বা প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে একজন স্টুডেন্ট আর একজনকে র্যাগিং করছে কীভাবে ইস্যুতেই। তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহার দাবি, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ড্রাগ নেওয়ার মতো অনৈতিক কাজকর্ম হচ্ছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল নেতার। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মামলায়। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্টে। আদালত ও তৃণমূল সূত্রে খবর, এই মামলায় সওয়াল করবেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, বুধবারই নদিয়ায় মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাচ্ছে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে পরিবারের পাশে আছে, সেই বার্তা দিতেই ওই দল যাচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।