ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নৈহাটি বিধানসভা এখন বিধায়কহীন। পার্থ ভৌমিক বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।তাঁর পা এখন দিল্লির দরবারের দিকে। এখন পার্থর ছেড়ে যাওয়া আসনে কে হতে পারেন সম্ভাব্য প্রার্থী, সেই নিয়ে নৈহাটি তৃণমূলের অন্দরে বাড়ছে জল্পনা। যদিও নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন তাহলেও নৈহাটি বিধানসভার বিধায়ক আসনের লড়ায়ে কার নামে পড়তে পারে শিলমোহর, চুপিসারে চলছে হিসেব। আর এখানেই উঠে আসছে তিন নাম। প্রথম নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়। যিনি নৈহাটি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড-এর কাউন্সিলর। অন্যদিকে ভাসছে নৈহাটি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড-এর কাউন্সিলর সনৎ দে-এর নাম, যিনি আবার নৈহাটি পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সিআইসি। আবার সম্পূর্ণ অন্যদিকে উঠে আসছে ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-এর নাম, যিনি আবার হালিশহরের বাসিন্দা। তবে এর বাইরেও কিছু নাম থাকলেও এই তিন নাম নিয়ে চলছে জল্পনা। একটি সূত্রের মতে, এই তিন নামের মধ্যে সনৎ দে-এর সম্ভবনা জোরালো। কান পাতালে শোনা যায়, নৈহাটিতে তাঁর দাপট রযেছে বেশ। বিশেষত কোভিড সময়ে ভ্যাক্সিনের সঠিক ব্যবহারে তাঁর সুনাম শোনা গিয়েছিল।
অন্যদিকে নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় অনেক অভিজ্ঞ। শুধু তাই নয়, তাঁকে একডাকে পাওয়া যায় বলেও সুনাম আছে। কিন্তু এইসবের মাঝে ছাত্র নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য গোটা লোকসভা ‘দাদা’ পার্থর পাশে ছিল। নৈহাটি কলেজে এখনও তাঁর নামে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায় বলে শোনা যায়। শুধু তাই নয়, নবপ্রজন্ম দাদাকেই বিধানসভায় পাঠাতে চায়। তবে নৈহাটির এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য অনুসারে, ” তৃণমূল খুব অপ্রত্যাশিত একটি দল। কাকে কখন দাঁড় করাবে সেটা সময় বলবে। তবে প্রাথমিক হিসেবে সনৎ দে এগিয়ে। কিন্তু সবটাই জল্পনা। তিনটে নামের চললেও ভেসে উঠছে আরও অনেক নাম। একটি সূত্রের মতে বিজেপির ফাল্গুনী পাত্র নাকি দল ছেড়ে ঘাসফুলে এসে নৈহাটি থেকে বিধানসভার টিকিট পেতে পারেন। তবে সেই সম্ভবনায় জল ঢেলেছেন অনেক শীর্ষ নেতৃত্ব।