সোমবার সন্ধ্যায় একদিকে যখন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হল, তখনই অভীক দে-কে বরখাস্ত করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অর্থাৎ, শেষ পর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি অভীক দে-র বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল শাসক দল তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে এই খবর জানান। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভীককে বরখাস্ত করেই রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে কেন দেখা গিয়েছিল অভীক দে-কে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
উল্লেখ্য, সেমিনার রুম অর্থাৎ যেখানে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়, সেই ঘরে ঘটনার দিন লাল জামা পরা এক যুবককে দেখা গিয়েছিল। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কে ওই ব্যক্তি তা নিয়ে। এরপর লালবাজারের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছিল, ওই ব্যক্তি ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দেয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশন বেঙ্গল বা আইএমএ বেঙ্গল। তারা জানিয়ে দে, অভীক দে হলেন এসএসকেএমের সার্জারি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের ট্রেনি।
এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, অভীক দে-র প্রতিপত্তি নেহাত কম ছিল না। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের গেস্ট রুম নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতেন তিনি। এমনকী চিকিৎসকের বদলি, অধ্যক্ষ বা সুপার হওয়ার বিষয়গুলিও ছিল তাঁর হাতেই! এমনকী মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষায় পাশ করানোর নামে টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।