সিএএ লাগু হওয়ার পরেই ময়দানে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তপসিলি জনজাতির ভোট টানতে বিশেষ কর্মসূচি ঘাসফুল শিবিরের। মঙ্গলবার থেকেই নতুন এই কর্মসূচি ‘তপসিলির সংলাপ’ চালু করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই কর্মসূচিকে আমজনতার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এলাকায় এলাকায় যাবে তৃণমূলের তরফ প্রচার গাড়িও।
এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১৫ তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযান শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তপসিলি জাতি, উপজাতির নেতারা প্রচার গাড়ি নিয়ে এলাকায় এলাকায় প্রচারে যাবেন। প্রত্যেক এলাকায় ৩ থেকে ৫ হটস্পটে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এরই পাশাপাশি একটা প্রচার পুস্তিকাও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিজেপি কী ভাবে অত্যাচার করছে তার প্রচার চলবে। এদিকে তৃণমূল সূত্রে এ খবরও মিলছে, ৬০০০-এরও বেশি এলাকায় যাবে তৃণমূলের প্রচার টিম। ৩৫০০ জন নেতার নেতৃত্বে প্রচারে নামছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ১৫০টি প্রচার গাড়ি নামবে অভিযানে।
দেশ জুড়ে লাগু হল সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আইন পাস হওয়ার চার বছর পর সোমবার বিকেলে এই আইন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। এরপরেই নানা মহল থেকে আসতে শুরু করেছে তুমুল প্রতিক্রিয়া। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে সোমবারই জানিয়ে দেন ‘কাউকে বঞ্চনা করতে দেব না।’
এদিকে, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারের সফরে যেমন সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান কর্মসূচি রয়েছে, তেমনই পাহাড়ের বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছেই রাজবংশী, নমঃশূদ্র, লেপচা, জিটিএ-সহ একাধিক বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মাঝে ‘তপসিলির সংলাপ’ কর্মসূচি প্রচারে নয়া গতি আনতে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহল।