ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার তিনি নদিয়ার কালীগঞ্জে মৃত নাবালিকা তামান্না খাতুনের বাড়িতে যান। এরপর তমান্নার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে গিয়ে রোষের মুখে পড়েন খোদ তামান্নার মায়ের। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই হুমায়ুনকে শোকজ করল রাজ্যের শাসক দল। দলকে না জানিয়ে তিনি কেন আগ বাড়িতে নিহতের বাড়ি গিয়েছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে প্রাক্তন এই আইপিএস–এর কাছে।
সূত্রের খবর, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হুমায়ুন কবীরকে এই শো–কজের জবাব চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘দলের অনুমতি ছাড়াই ২৫ জুন আপনার অযাচিত হস্তক্ষেপে আমাদের দলের ভাবমূর্তি যারপরনাই ক্ষতি হয়েছে। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের এই আচরণের জন্য আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।‘
গত ১৯ জুন কালীগঞ্জে বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কালীগঞ্জ বিধানসভায় বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন তিনি। তবে এই ফলাফল ঘোষণার আগেই যখন প্রায় নিশ্চিত যে নির্বাচনে জয় পেতে চলেছেন আলিফা তখনই এক বিজয় মিছিল শুরু হয় তৃণমূলের। আর এই বিজয় মিছিল থেকে একাধিক এলাকায় সিপিআইএম কর্মী–সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই বোমার আঘাতেই মারা যায় ছোট্ট তামান্না। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন পরিবারের সদস্যরা। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ নাবালিকার মা। ঘটনার কথা জানতে পেরে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাতে অস্বস্তি কমেনি শাসক দলের। এরই মধ্যে বুধবার তামান্নাদের বাড়িতে যান হুমায়ূন। শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তামান্নার মায়ের হাতে টাকাও তুলে দিতে যান বিধায়ক। তাতেই ফুঁসে ওঠেন ওই মহিলা। তিনি স্পষ্ট তৃণমূল বিধায়ককে জানান, তিনি টাকা চান না। মেয়ের খুনের বিচার চান।