কয়েকদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে পাশে নিয়ে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বার্তা দিয়েছিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে কোনও বড় প্রোমোটার বা সমাজ বিরোধীদের সম্পর্ক থাকবে না।’ রবিবারও সেই একই বার্তা দিতে দেখা গেল তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগতকেও। সমাজ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করে বলেন, ‘তৃণমূলের কোনও সমাজ বিরোধী দরকার নেই। কেউ তোলা চাইবে এটা মমতার সরকার হতে দেবে না।’
একইসঙ্গে সৌগত এদিন এও বলেন, ‘কোনও সমাজ বিরোধীর ভোট আমরা চাই না। তাই যাঁরা সমাজ বিরোধীদের নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের বলছি সামলে যাও। সামলে না গেলে তোমাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন কিছু বলতে এসো না। মানুষ শান্তিতে থাকবে। নিজের কাজ করবে। কেউ তোলা চাইবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মেনে নেবে না।’
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনায় গ্যাংস্টার জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে একই মঞ্চ শেয়ার করতে দেখা গেছে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ছেলে, তাঁর পুত্রবধূকে। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে গ্যাংস্টারের সঙ্গে মদন মিত্রের পরিবারের যোগ রয়েছে কি না তা নিয়ে। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, কার ছত্রছায়াতেই বা এই দুষ্কৃতীর বাড়ন্ত তা নিয়েও। শুধু তাই নয়, গ্যাংস্টারের সঙ্গে ছবি প্রকাশ্যে আসে তৃণমূল সাংসদেরও। এরপরই প্রশ্নের মুখে পড়েন সৌগতও। এরপরই সৌগতকে বলতে শোনা যায়, ‘অতীতে হয়ত কিছু ভুল হয়েছে।’ এরপর উল্টো রথের দিন জানান, ‘সিদ্ধান্ত নিলাম যা হয়েছে ভুল হয়েছে। সংশোধন করব। এরপর থেকে ভুল হবে না।’ এরপর রবিবারও ঠিক সেই একই সুর শোনা গেল তৃণমূল সাংসদের গলায়।
আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হঠাৎ এখন বোধদয় কি না তা নিয়েই। এই প্রসঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ জানান, ‘তোলাবাজির বিরুদ্ধে উনি কী করে গলাবাজি করেন? জয়ন্ত সিং সঙ্গে যে ছবিগুলো রয়েছে তা তো ঝাপসা হয়ে যায়নি।’