উত্তর ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

পাকিস্তানি সেনার গোলাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়,দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৫ প্রতিনিধি জম্মু ও কাশ্মীর যাবেন। বুধবার থেকে তিন দিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন ডেরেকরা। প্রিয়জনদের হারানো পরিবারগুলির দুঃখ ভাগ করে নেবেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। এরপরই তৃণমূল সূত্রে খবর,জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকায় যাবেন তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধি। ওই প্রতিনিধি দলে থাকছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন,মহম্মদ নাদিমুল হক,মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, সাগরিকা ঘোষ এবং মমতাবালা ঠাকুর। ২১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরির বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূলের এই পাঁচ প্রতিনিধি।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা ২৬ জনকে হত্যা করার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ভারত। ওই হামলার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়েও দেওয়া হয়। আর এই অপরাশনকে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’বলে অভিহিতও করা হয়। একইসঙ্গে ভারতীয় সেনার তরফে স্পষ্ট করা হয়, এই অপারেশন সিঁদুরে শুধু জঙ্গিঘাঁটিতেই আঘাত হানা হয়েছে। কোনও আঘাত হানা হয়নি পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয়। এমনকী পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদেরও নিশানা করা হয়নি। এরপরও অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান সেনা বিনা প্ররোচনায় ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে নিশানা করে। গোলাবর্ষণ করে। পাকিস্তান এই হামলা থেকে রেহাই পাননি শ্রীনগর, পুঞ্চ, রাজৌরির সাধারণ মানুষ। সরকারি ভাবে জানানো হয়,পাকিস্তান সেনার গোলাগুলিতে ১৫ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান। জখম হন ৪০ জনেরও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু বাড়ি।
এবার সেই সীমান্তবর্তী শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতেই পরিদর্শনে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =