ফের সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। টাকার ভাগ চাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই শাসক নেতার ‘দ্বন্দ্ব’-এর ঘটনা ধরা পড়ল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।অভিযোগ, টাকার ভাগ নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল নেতা নিমাই কর্মকারকে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় আর এক শাসকদলের নেতা সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। ব্যাপক মারধরের জেরে বর্তমানে আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিমাই কর্মকার। সূত্রে খবর মিলছে, প্রতিবছরই পুজো উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম তুলে থাকেন। সারা মাস ধরে আবার কর্মীরাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেই টাকা শোধ করে দেন। অভিযোগ, সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছেন তাঁকে ওই টাকা থেকে ভাগ দিতে হবে। নিমাইবাবু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় নিমাই কর্মকার জানান, ‘গত ২০ তারিখ পুজো অ্যাডভান্স নেওয়ার সময় সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় সদলবলে আমার মারধর করেন। আমায় জোর করে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য।’ যদিও সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।আর এখানেই তুলে ধরেন নিতাই কর্মকারের হোঁচট খেয়ে পড়ার তত্ত্ব। সন্দীপবাবুর বক্তব্য, , ‘উনি হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছেন। এরম টাকা চাওয়ার অভিযোগ আগে কেউ করেনি। এটা পরিকল্পিতভাবে করানো হচ্ছে।’
তবে এই ঘটনায় অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাস নাগাদ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন হতে পারে, এমনই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।তার আগে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কোথাও ফেস্টের নাম করে চাঁদা আদায়, বা তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কর্মচারি ইউনিয়নগুলির দ্বন্দ্ব যেভাবে সামনে আসছে তা যে বিপদজনক বলার অপেক্ষা রাখে না।