সন্দেশখালির ঘটনায় এবার দলীয় কমিটি গঠন করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই তৈরি করা হয়েছে এই কমিটি। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই কমিটিতে গৌর রায়, অষ্টমী দাস, গণেশ দাসকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। এই কমিটির সদস্যদের কাজ হবে উপদ্রুত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা। স্থানীয়দের কোনও অভিযোগ পেলে তা নথিভুক্ত হবে। এরপরই খতিয়ে দেখা হবে সেই সব অভিযোগ।
এরই পাশাপাশি এদিন গ্রামবাসীদের একাংশের সামনে শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিতেও দেখা গেল সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। এরই রেশ ধরে তিনি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার আবেদনও করেন। প্রয়োজনে চাঁদা তুলে টাকা মেটানোর অশ্বাস দিয়েছেন। টাকা মেটানোর আশ্বাস দিতে শোনা গেছে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকেও। এদিকে বীরভূম থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালির বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, ‘যদি কেউ মনে করে কারও কাছ থেকে কেউ কিছু নিয়েছে তাহলে সেটাও ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটা মনে রাখবেন আমি যখন যেটা বলি আমি সেটা করি।’ একইসঙ্গে বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে অনেকেই তিলকে তাল করছেন।’ সঙ্গে এও মনে করিয়ে দেন, ‘কোনও মহিলা এখনও এফআইআর করেননি। আইন আইনের পথে চলুক। বিচারের আগে অনেকে অনেক কথা বলছে।’
এই একই সুরের অনুরণন ধরা পড়ল পার্থ ভৌমিকের গলাতেও। আমজনতার উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ‘টিভির পর্দায় নাটক হচ্ছে! অভিযোগ একটাও সত্যি? সন্দেশখালির একজন মা-বোন এসে বলুক না তাঁদের উপর অত্যাচার হয়েছে! যদি ভয় পেত তাহলে কী টিভিতে বলতে পারত? ওখানে ভয়হীন? যাঁরা আতঙ্কে আছেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলুন। আমরা আতঙ্ক কাটিয়ে দেব। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকবে, সেই রাজ্যের নাম বাংলা হবে, মমতা বন্দ্যোপধ্যায় তাঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এ হবে না। সবই তো সিপিএম, বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত, নাটক।’