লোকসভা ভোটে রাজ্যে সুবজ ঝড়। ৪২ আসনের মধ্যে ২৯ আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল, বিজেপির দখলে ১২ আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ১ আসন। কিন্তু হেরে যাওয়া বেশ কিছু আসন নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হল তৃণমূলের তরফ থেকে। বেশ কয়েকটি লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভার ফল নিয়ে শুরু হল আলোচনা।
তৃণমূলের হাইকম্যান্ডের তরফ থেকে দেখা হচ্ছে, সাংগঠনিক তালমিলের অভাবেই সেখানে ফল খারাপ হল কিনা তাও। বিষ্ণুপুর, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বার্তা দিয়েছিলেন পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখা হবে। তার ভিত্তিতেই এবার ব্লক স্তরের রিপোর্ট নেওয়া শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দাবি ছিল, তৃণমূলের ঝুলিতে আসবে ৩২টি আসন। বাস্তবে এসেছে ২৯টি আসন। যা তাঁর ভবিষ্য়দ্বাণীর একেবারেই কাছাকাছি। ২০১৪ থেকে ২০১৯-এ তৃণমূলের আসন ৩৪ থেকে নেমে এসেছিল ২২-এ। ২০২৪-এ শক্তি বাড়িয়ে ফের তিরিশের কাছাকাছি পৌঁছে গেল তৃণমূল। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০২৪-এ তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার বেড়ে হল প্রায় ৪৬ শতাংশ। আর এর কৃতিত্বের অনেকটাই এবার সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ার বৈঠকে যোগ দিতে বুধবারই দিল্লি যাচ্ছেন অভিষেক। লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে এই জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কাজটা কোনওদিক থেকেই সহজ ছিল না। একদিকে, বিজেপির আক্রমণের মোকাবিলা, অন্য়দিকে, তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলা। সেই কাজে প্রায় ১০০ শতাংশ সফল অভিষেক।