ইভিএম কারচুপি বিতর্কের মাঝে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, সরকারি প্রকল্পের আড়ালে সরকারি ক্যাম্পে মহিলাদের ফোন জোগাড় করে রাখে তৃণমূল। এরপর সেখান থেকে ফোন নম্বর নিয়ে মহিলাদের তথ্য হাতানোর অভিযোগ তুললেন সুকান্ত।
এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে যে তথ্য গুলো, ফোন নম্বর, আধার কার্ড, ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য চলে যাচ্ছে তৃণমূলের কাছে। তা চলে যাচ্ছে আই প্যাকের কাছে।’ আর এখানেই সুকান্তর প্রশ্ন, ‘আগামী দিনে এই সন্দেশখালির মতো মহিলাদের নম্বর নিয়ে তৃণমূলের নেতারা মহিলাদের বিরক্ত করবে না, বা কুপ্রস্তাব দেবে না, তার গ্যারান্টি কে নেবে?’ এরপর তিনি আরও এক পা এগিয়ে জানান, তাঁর ধারনা আগামী দিনে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এসে পড়ে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আনার ঘটনাও। তৃণমূল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এটা দাবি করেছিল, রেখা পাত্রা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত। আর সে দাবি করতে গিয়ে রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তথ্য হ্যাক করা হচ্ছে। সুকান্তর এই দাবি নিয়ে অবশ্য সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার বালখিল্যের মতো কথা বলছেন। ভেবেছিলাম তিনি অধ্যাপনা করেন, পরিণত রাজনীতিবিদ। কিন্তু তাঁর কথাবার্তা দিন দিন অসংলগ্ন হয়ে পড়ছে। আমরা কি পাল্টা প্রশ্ন করব আধারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংস্থা হ্যাক করছে? এর আগেও সুকান্ত বলেছিলেন, আমরা নাকি হ্যাকারদের রাখি। তাঁর যে মানসিকতা বক্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে। তাঁর কাছে প্রমাণ থাকলে, সেটা সামনে আনুক। বাজার গরম করা কথা বললে চলবে না।’
প্রসঙ্গত, এদিনের এই অভিযোগের আগে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন সুকান্ত। ইভিএম কারচুপি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মীদের সব জায়গাতেই সতর্ক থাকতে বলেছি। কারণ ছলের দুর্বুদ্ধির অভাব হয় না। দোসর আই প্যাক। চক্রান্ত থেকে সাবধান থাকতে হবে।’