লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার নিয়ে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনাকে হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ইস্তেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়ে। এ ছাড়া ১০০ দিনের কাজের প্রাপক দিন পিছু বাড়ানোর বিষয় উল্লেখ থাকবে এই ইস্তেহারে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের জন্য একাধিক বিষয় উল্লেখিত হবে তৃণমূলের ইস্তেহারে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ইস্তেহার শুধু বাংলাসর্বস্ব হবে না। বরং কেন্দ্রে সরকার গঠনে অংশ নিলে, সারা দেশে দলের নীতি এবং কর্মসূচি কী হবে, তার সবিস্তার বর্ণনাও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। দেশের ছাত্র ও যুবক-যুবতীদের আরও বেশি পরিমাণ কর্মসংস্থান দেওয়া তাদের লক্ষ্য। তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সংখ্যালঘুসহ মানুষদের জন্য সংরক্ষিত প্রতিটি আসন পূর্ণ করার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
এর পাশাপাশি কৃষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং জীবিকা নির্বাহের সুবন্দোবস্ত করা তাদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে ইস্তেহারে বলা হচ্ছে যাতে কৃষকরা কম দামে উৎপাদিত শস্য বিক্রী করতে বাধ্য না হন সেদিকেও নজর রাখবে বাংলার শাসকদল। অসংগঠিত ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা হবে। নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে স্কিম আসতে পারে জাতীয় স্তরে৷ এর পাশাপাশি সমাজের দরিদ্রতম অংশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সুযোগ বাড়ানোর জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পটিকে আরও বেশি দিনের কাজের প্রকল্পে রূপায়িত করা হবে। এ ছাড়াও মজুরীর পরিমাণ দ্বিগুণ করে আয়কে সুনিশ্চিত করা হবে যাতে মানুষ সম্মানের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। একইসঙ্গে উন্নত সামাজিক পরিকাঠামোর স্বার্থে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো হবে যাতে এর সুবিধা সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
এখানেই শেষ নয়, ২০১১ থেকে গত ১৩ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলায় কী কী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে তার বিবরণ থাকতে পারে ইস্তাহারে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী এবং গীতাঞ্জলির মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিও সবিস্তারে তুলে ধরা হতে পারে। বাংলাকে প্রাধান্য দেওয়া হলেও, গোটা দেশকে মাথায় রেখে এবার তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, বিজেপিবিরোধী শিবির যদি ক্ষমতায় আসে, তা হলে নয়া সরকারে তৃণমূলের কী ভূমিকা হবে, বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে কী ভাবে সারা দেশে রূপায়ণ করা সম্ভব হবে, ইস্তেহারে তাও সবিস্তারে বলা হচ্ছে এবারের নির্বাচনী ইস্তেহারে।