সন্দীপ ঘোষের পুনর্বহাল নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শনিবার কুণাল বলেন, ‘অপসারণের পর তড়িঘড়ি ন্যাশনালে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত ভাল হয়নি। আমি সেদিনই বলেছিলাম। তবে তৃণমূল এসবের মধ্যে জড়াতে চায় না।’ আরএতেইবড়সড়শোরগোলবঙ্গরাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার হলে পিজিটি মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এই নৃশংস ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ার পর হাসপাতালের সুপারকে অপসারিত করা হয়। কিন্তু, অধ্যক্ষ পদে থেকে যান সন্দীপ। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। এরপরই সোমবার অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেন সন্দীপ। আর তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যভবন তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যা বাতিল হয়েছে। এমনকি, সন্দীপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে হাইকোর্ট বলে, ‘রাজ্যকে বলুন নিরাপত্তা দিতে। আপনি তো প্রভাবশালী। ৫০০ পুলিশ দিয়ে দেবে। না হলে আদালতের কাছে আসুন।’
সন্দীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সন্দীপ ঘোষকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যালে অধ্যক্ষ করা নিয়ে সরব হন কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে বুধবার রাতে আরজি করে হামলার ঘটনার নিন্দা করে কুণাল বলেন, ‘মানুষ ভুল বুঝেছে। প্রশাসনিক কিছু ভুল ত্রুটি হয়েছে। মানুষের আবেগকে আঘাত করেছে।’ তবে এর সঙ্গে নবান্নের কোনও যোগ নেই বলে কুণাল মন্তব্য করেন।
তৃণমূলের নেতা হয়ে কেন তিনি দলের ভুল তুলে ধরছেন? এই নিয়ে কুণাল বলেন, ‘আমি দলের সৈনিক। তবে দলের কিছু কাজ নিয়ে মানুষ ভুল বুঝলে আমার বলা উচিত। এটার জন্য দল যদি আমাকে ভুল বোঝে তো বুঝবে। কিছু ভুল হলে আমি বলবই। তাতে আমাকে বিষপান করতে হলে করব।’ তবে মমতা কিছু আড়ালের চেষ্টা করছেন বলে দাবি কোনওভাবেই মানতে পারবেন না বলে স্পষ্ট করে দেন কুণাল।
এর পাশাপাশি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে কুণাল এও বলেন, ‘ডাক্তারবাবুদের সবাই খারাপ নন। তবে বাংলাদেশের ঘটনায় বাইপাসের ধারে হাসপাতালগুলির রোগী আসছে না। ফলে সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি থাকলে কাদের লাভ? এই কর্মবিরতি যাঁরা আবেগ দিয়ে করছেন, তাঁদের নিয়ে অবশ্য কিছু বলার নেই।’ এদিন কুণাল জানান, আরজি করের কয়েকজন ছাত্র তাঁকে কিছু তথ্য দেবেন। সোমবার সিজিও–তে গিয়ে সিবিআই–কে সেইসব তথ্য দিয়ে আসবেন।