সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপাল যেন ‘একতরফা’ অভিযোগ না শোনেন, সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই আর্জি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের। রাজ্যপাল নিজেও তাতে সম্মতি জানিয়েছেন, বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকেও। রাজ্যপাল সন্দেশখালি নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, সেখানে একাধিক ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘মিথ্যা’ অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি বৃহস্পতিবার দাবি করা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মূলত, চোপড়া শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানানো হয়। এদিনের বৈঠকে অবশ্যম্ভাবী ভাবে উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। সেখানেই, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল জানায়, সংবাদ মাধ্যমে বেশ কিছু ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো হচ্ছে সন্দেশখালি নিয়ে। এমনকি, বিজেপির তরফে চক্রান্ত করে বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরাও হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, আমরা সন্দেশখালি নিয়ে ওঁকে জানিয়েছে, একতরফা ভাবে যেন সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, উনি রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকেও তাঁদের রিপোর্ট নেবেন। দুই তরফের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যের সংবিধান প্রধান যাতে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান নেন, সেই ব্যাপারে আবেদন করা হয় তৃণমূলের তরফে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, ‘সন্দেশখালিতে দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের সঙ্গে খারাপ কাজ হয়ে আসছে, সেখানে মহিলারা মুখ খোলেনি। কিন্তু, সিপিএম, বিজেপির নেতারা একটা কথা বললো না।’ কুণালের দাবি, আজকে রাজ্যকে কলুষিত করার জন্য এইসমস্ত অভিযোগ তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, সেখানে পুলিশ, দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে যে কুৎসিত বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়।’
পাশাপশি, এদিন উত্তর দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকায় ৪ শিশু মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্যপাল যাতে সন্দেশখালির পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়েও হস্তক্ষেপ করেন সে ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়। রাজ্যপাল নিজে চোপড়ায় যাবেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন, এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের। এমনকি, রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিজেপির দুর্বৃত্তরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে, সেই অভিযোগ তুলে ধরা হয় রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল তৃণমূল পরিষদীয় দলকে নিয়মিত সে ব্যাপারে আপডেট দেওয়ার কথা বলেছেন বলেও দাবি করা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে।