আরজি করের উত্তাল আবহে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। এবারের পোস্টে তুলে ধরলেন ফরাসি বিপ্লব ও বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা। এদিকে রবিবার চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে পথে নামেন তারকা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তার আগে সাংসদের এই পোস্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহলমহল।
প্রসঙ্গত, ১৭৮৯ সালের ২৪ জুলাই ক্ষুব্ধ জনতা ভেঙে দেয় প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ। যে দুর্গ ছিল ইউরোপে মধ্যযুগীয় শোষণের প্রতীক। এরপরই শুরু ফরাসি বিপ্লব। বর্তমানে আরজি কর নিয়ে উত্তাল বাংলা। সুবিচারের দাবিতে একজোট হয়েছেন সমাজের সবস্তরের মানুষ। প্রত্যেকের দাবি একটাই, ন্যায়বিচার। এমনই এক প্রেক্ষিতে সুখেন্দুশেখর রায় সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘১৭৮৯ সালের জুলাই। বিক্ষোভকারীরা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিলেন বাস্তিল দুর্গ। জন্ম হয়েছিল ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের।’ বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা মনে করিয়ে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন সুখেন্দুশেখর তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এটাও স্বাভাবিক যে সাংসদের এই পোস্টে ফের অস্বস্তিতে বাংলার শাসকদল।
প্রসঙ্গত, আর জি কর ইস্যুতে প্রথম থেকেই সরব সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। মেয়েদের রাতদখলের আগে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রাতদখলে শামিল হওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে সিদ্ধান্ত বদল করে ১৪ তারিখ দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধরনায় বসেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তীতে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। তার জেরে আইনি জটিলতার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। একাধিকবার তাঁকে তলব করা হয় লালবাজারে। পরে পোস্টটি মুছেও ফেলতে হয় তাঁকে। তবে তাতে তিনি তাঁর অবস্থান থেকে সরেননি সাংসদ, এদিনের পোস্টেই তা মোটের উপর স্পষ্ট।