দেশের চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ইঙ্গিত আসতেই প্রতিক্রিয়া মিলল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা হলেও রেজাল্ট মোটের উপর স্পষ্ট। তেলেঙ্গানা ছাড়া বাকি তিন রাজ্যেই গেরুয়া শিবির শেষ হাসি হাসতে চলেছে।
বিজেপির এই জয় প্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘তিন রাজ্যে এটা যত না বিজেপির সাফল্য, তার চেয়ে বেশি কংগ্রেসের ব্যর্থতা।’ একইসঙ্গে তাঁর কথায়, ‘ভিন রাজ্যে জিততেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক স্কিমগুলি নকল করেছে অন্য দল। তবে লোকসভা ভোটে এর প্রভাব পড়বে না। মিলিত ইন্ডিয়া জোটের প্রভাব থাকবে।’ পাশাপাশি দেশে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লড়াইতে নেতৃত্ব দেওয়ার দল হিসেবে তৃণমূলের তরফে জোরালো দাবিও জানান তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। একই সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রর সংযোজন, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায় ‘আজ যে ফলাফল দেখা যাচ্ছে লোকসভায় এর কোনও প্রভাব থাকছে না। কারণ কংগ্রেস একা নিজের ক্ষমতা পরীক্ষা করতে গিয়েছিল সেটা ব্যর্থ। পশ্চিমবঙ্গে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। উন্নয়ন,ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করছেন। আর এই ব্যর্থতা থেকে কংগ্রেসের শিক্ষা নেওয়া উচিত। বিজেপি বিরোধীদলের মধ্যে কংগ্রেস আছে। যে রাজ্যে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে যদি কংগ্রেস দুর্গ রক্ষা করতে না পারে শিক্ষা নিতে পারে। জোটের মধ্যে জমিদারি মানসিকতা থেকে সরতে হবে। রাজস্থানে অশোক গেহলট, সচিন পাইলট, মধ্য প্রদেশে কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিং পারলেন না। বাংলায় সিপিআইএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করবেন কতদিন? শীর্ষ নেতৃত্ব কে দায় নিতে হবে। শীত ঘুম থেকে বেরোতে হবে। মানুষের দাবিতে গণ আন্দোলন করতে হবে। যে মুখ তাঁকে এগিয়ে দিতে হবে। সাতবারের সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন মুখ। কংগ্রেস আত্মসমালোচনা করবে না? তাদের লোক কলকাতায় এসে বিজেপির মূল শত্রু তৃণমূলের ক্ষতি করা চেষ্টা হচ্ছে।’
অন্যদিকে দলের আর এক মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, ‘দুঃখের বিষয়, উত্তর ভারতে কংগ্রেসের একটাও ডিকে শিবকুমার নেই। কংগ্রেস তৈরি করতে পারেনি। পারলেও ধরে রাখতে পারেনি। বহুক্ষেত্রে ইগো ছেড়ে বাস্তবতাকে বুঝতে শিখতে হব। শুধু ভোটের সময় জেগে উঠলে হবে না; সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপিকে বিজেপির ভাষায় লড়াই ফিরিয়ে দেওয়ার শক্তি আর কজনের আছে?’