হাতির মতো সরিয়ে ফেলতে হবে তৃণমূলকে, ব্রিগেড থেকে হুঙ্কার বন্যার 

২০২৬-এর নির্বাচনের আগে শ্রমজীবী ভোটব্যাঙ্ককে পাখির চোখ করে  শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ও বস্তি ফেডারেশনের ডাকে রবিবার ছিল বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। এদিন ব্রিগেডর সভায় বক্তা হিসেবে ছিলেন ছয়জন। মীনাক্ষী মুখোপাধ‍্যায় না থাকলেও এই সভায় বক্তব‍্য রাখেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সঙ্গে বক্তব্য় রাখতে দেখা যায়  ক্ষেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, কৃষকসভার অমল হালদার, সিটুর অনাদি সাহুদের।
‘ছাব্বিশে উইকেট ফেলব’, ব্রিগেডের সভা থেকেই হুঙ্কার বামনেত্রী বন‍্যা টুডুর। একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘হাতির মত সরিয়ে ফেলতে হবে তৃণমূলকে, নাহলে বাঁচতে পারব না। গ্রামে হাতি ঢুকলে আমরা গ্রামের লোকেরা আগুন ধরিয়ে তারাই। পুলিশ প্রশাসন যারা জমি দখল করতে আসে তাদেরকেও এই ভাবে তাড়াতে হবে। সব জেলায় লড়াই হচ্ছে, জমি দখল মুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের লড়াই খেটে খাওয়া মানুষের লড়াই।’ একইসঙ্গে তিনি যেন সমাধান করেন এক বড় প্রশ্নের। বলেন, ‘এত লোক জিজ্ঞেস করেছে ভোট বাক্সে কেন প্রভাব পড়ে না ব্রিগেডে এত লোক হয়। কিন্তু রুটি রুজির লড়াই আলাদা ভোট বাক্সের লড়াই আলাদা। সহ্য করব না আর। টাকা দাও নাহলে কাজ দাও। দিল্লিতে যাব নরেন্দ্র মোদির কাছে যাব। বুথ লেভেলে বসে থাকতে হবে লড়াই করতে হবে। ভয়ের কিছু নেই। শুধু বক্তৃতা দিয়ে শুনে গেলে হবে। লক্ষ্মীর সম্মান থাকে না যেখানে সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি হবে। সম্মান চলে যাচ্ছে আর টাকা ধরিয়ে দিচ্ছে। খেলা আমরাও করব। ব্যাট ও করব বল ও করব। উইকেট ফেলব। সোমবার থেকেই গ্রামে অঞ্চলে যাব বুথে বসব। প্রতিটি বুথে বসব।’
এরই পাশাপাশি এদিন তিনি সভা মঞ্চ থেকে এও জানান, ২০১১ সালের বামফ্রন্ট সরকারের দেওয়া জমি লুঠ করা হচ্ছে। ভোট বাক্স আলাদা আর রুটি রুজির লড়াই আলাদা। খেতে খাওয়া মানুষের টাকায় এই মঞ্চ। এরই রেশ ধরে এদিন বন্যা বলেন,
‘আমরা বলেছি ১০০ দিনের কাজ ২০০ দিন করতে হবে। হয় টাকা দাও না হলো কাজ দাও। আমাদের লড়াই গরিব মানুষের জন্য লড়াই। বামফ্রন্ট সরকার আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আজ এরা আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।সরকার কাজ দিতে পারছে না বলছে চপ বিক্রি কর। কেন করবে?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 9 =