দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের শিক্ষকনেতা সিরাজুলকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। তবে শুক্রবার সেই নির্দেশের পরিবর্তন করে ওই বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা বিচারাধীন থাকায় বরখাস্তের বদলে আপাতত সাসপেন্ড করা হয় ওই শিক্ষককে। এরপরও স্বস্তি মিলল না সিরাজুলের। ডিভিশন বেঞ্চ আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করলেও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে বড়ই অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে হয় সিরাজুলকে।
বিচারপতি বসুর এজলাসে প্রশ্ন ওঠে, কেন অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও এতদিন ধরে ওই শিক্ষকনেতাকে গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে। একইঙ্গে এ প্রশ্নও ওঠে, গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে সিআইডি-র ওপর কোনও চাপ আছে কি না, তাও এ দিন জানতে চান হাইকোর্টের বিচারপতি। এরই পাশাপাশি বিচারপতি এও জানতে চান, শুক্রবারই সিরাজুলকে গ্রেফতার করা সম্ভব কি না, সে ব্যাপারেও।
এরপরই সিআইডি-র উদ্দেশে এদিন বিচারপতি বসু বলেন, ‘উনিতো সেই নোবেল ব্যক্তি, ওঁর বেতন বন্ধ করুন। ওঁকে দু-তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার করুন।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘ওঁকে ২০০১-এ জেলে ঢোকানো উচিৎ ছিল। আপনাদের ওপর কোনও চাপ আছে নাকি? ওঁকে জেলে পাঠানো হচ্ছে না কেন?’ উত্তরে সিআইডি জানায়, নথি সংগ্রহ করা হচ্ছিল তাই গ্রেফতার করা হয়নি।
এক কথা শুনে আরও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘কথা ঘোরানোর চেষ্টা করবেন না। একবার হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে। আর একবার কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিয়োগ বেয়াইনিভাবে হয়েছে। আর কী তথ্য চাই?’ এরপরই সিআইডি-কে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আজকের মধ্যে কি গ্রেফতার করতে পারবেন?’ সিআইডি উত্তরে বলে, ‘আমরা চেষ্টা করব।’ রাজ্যকে বিচারপতি বসু জানান, উনি যদি স্কুলে যান তাহলে সিরিয়াস পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।