সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে শনিবার সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডি জোটের ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকা হল। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদানের কথা জানানো হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে এ খবরও মিলেছে, এদিন সন্ধে ৭টা থেকে শুরু হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠক। কলকাতা থেকে সেই বৈঠকে যোগ দেবেন অভিষেক। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের পর এই প্রথম ইন্ডি জোটের কোনও বৈঠকে যোগদান করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সংসদ অধিবেশনের আগে ডাকা বৈঠকগুলিতে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের দিল্লির বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হবে। কিন্তু সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব জানান, তাঁর পক্ষে শনিবার দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূলের তরফেও বলা হয়, যেহেতু ২১ জুলাই দলের বার্ষিক সভা, তাই তাঁদের কেউ সশরীরে বৈঠকে থাকতে পারবেন না। তারপরেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকের বিষয় চূড়ান্ত হয়।
এই বৈঠক সম্পর্কে যে খবর মিলছে তাতে এদিনের এই বৈঠকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কমিশন যে বিশেষ সমীক্ষা করছে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। তৃণমূল–সহ বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, বিহারে এই সমীক্ষা বাস্তবায়িত করে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম ভোটারতালিকা থেকে বাদ পড়লে আগামী দিনে সর্বত্রই তা কার্যকর করা হবে। আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা ভোট। পাশাপাশি ভোট রয়েছে অসম, কেরলের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে।
এদিকে, সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে দিল কেজরিওয়ালের আপ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের এই জোটই মোদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দেয়নি। ফলে জোটের গাঁটছড়া আলগা হওয়া মানেই বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে ধারনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধি আবার আরএসএস এবং কমিউনিস্টদের একই ব্র্যাকেটে ফেলায় ফুঁসে উঠেছে সিপিআইএম। দলের সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি বলেন, ‘লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেছেন আদর্শগত ভাবে আরএসএস এবং সিপিআইএম–এর বিরুদ্ধে তিনি লড়বেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আশা করব উনি মন্তব্য করার আগে আরও সচেতন হবেন। সমালোচনা হতেই পারে কিন্তু আমরা কখনওই বিজেপি এবং কংগ্রেসকে একই আসনে বসাব না। কিন্তু উনি তা করলেন।‘ এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য রাহুলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি যদি সত্যি সত্যিই বিজেপি এবং আরএসএস –এর বিরুদ্ধে লড়তে চান তবে আপনাকে সিপিআইএম–এর সঙ্গে হাত মিলিয়েই লড়তে হবে। নাহলে সেটা মক ফাইট হয়ে যাবে।‘