একেবারেই দোরগোড়ায় ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। একেবারে শেষ পর্বে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে ভাল ফল পাওয়ার আশায় সংগঠন মজবুতির দিকে নজর দিচ্ছে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল। বিশেষত, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের জন্য বাড়তি নজর রয়েছে প্রত্যেক দলেরই। এর মাঝেই আইটি সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, তৃণমূল আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া উইংয়ের জন্য সদস্য নিয়োগের কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রে এ খবরও মিলেছে, অনলাইনে একটি আবেদন পূরণের মাধ্যমে এই সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। যে কেউ আবেদন পূরণ করে এই সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য পদ গ্রহণ করতে পারে। তবে সদস্য পদ গ্রহণের জন্য আবেদনকারীকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন, আবেদনকারীকে অবশ্যই তিন থেকে চারটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল থাকতে হবে। এছাড়া, রাজ্য সরকারের জনহিতকর সমস্ত প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে নির্বাচনী প্রচারে অন্যতম সেরা অস্ত্র হল সোশ্যাল মিডিয়া। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রত্যেকে দলেরই প্রচারের ঝোঁক অনেকটাই বেড়েছে। দলের মতামত, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে প্রচার বার্তা মানুষের মোবাইলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম সেরা জায়গা। বিপুল পরিমাণ নাগরিক প্রতিনিয়ত এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সক্রিয় থাকেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যের শাসক দলও সেই তালিকায় রয়েছে। আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিটকে কাজে লাগিয়ে জোরদার প্রচার করতে চাইছে বলেই জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাস থেকে এই সদস্যপদ গ্রহণের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করার জন্যেই এই সদস্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসেই তৃণমূলের আইটি সেলকে ঢেলে সাজানো হয়। নতুন করে আইটি ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল ইউনিট তৈরি করা হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যকে আইটি সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতদিন ধরে আইটি সেলের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন করে কমিটি গড়েও দেওয়া হয়।