শনিবারই শেষ হল দেশের সাত দফার লোকসভা ভোট। ফল ঘোষণা আগামী ৪ জুন। কিন্তু সপ্তম দফার ভোট গ্রহণের পরই প্রায় সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখানো হয়েছে, তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি। ৪০০ আসন না হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভর করেই সরকার গঠন করে ফেলতে পারেন মোদি। এমনকী, পশ্চিমবঙ্গেও শাসক দল তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি আসনে বিজেপি জয়লাভের পূর্বাভাস দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি। তবে, এক্সিট পোল গুরুত্বই দিচ্ছে না তৃণমূল। এমনকী, সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটেও কংগ্রেস তথা বিরোধীদের তরফেও এই বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলিকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না।
এক্সিট পোল সামনে আসার পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘বাংলায় তৃণমূল ৩০ বা তারও বেশি আসনে জয়লাভ করবে। বুথ ফেরত সমীক্ষার তথাকথিত রিপোর্টে বাস্তব প্রতিফলিত হয়নি। কিছুক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে অবাস্তব তথ্য ছড়ানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা বিভ্রান্ত হবেন না। গণনার দিন এজেন্টরা শেষ পর্যন্ত সক্রিয় থাকুন। মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছেন।’
এদিকে, শনিবারই ভোট দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি পোর্ট এরিয়া ঘুরে এলাম। আমি খুব আশাবাদী শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ। অভিষেক আগে ২৩ টা বলেছে। এই ৯ টাও আমরাই পাব।’
এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি যাই দাবি করুক, দলের শীর্ষ নেতৃত্বও মনে করছে ২০১৯ সালের তুলনায় আরও বেশি আসনে এবার জয় পাবেন তৃণমূল প্রার্থীরা।