ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের স্থানে এবার বিজেপির প্রতিবাদ সভা। জেপির দাবি, ১০০ দিনের কাজ-সহ নানান প্রকল্পে দেদার দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। রাজ্যের তরফে খরচের হিসেব দেওয়া হচ্ছে না। তাই কেন্দ্রের তরফে টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ‘তত্ত্ব’ প্রমাণ করতে ধর্মতলায় সভা করছে বিজেপি। সেখানে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের প্রায় দোরগোড়ায় কলকাতায় শাহি সভায় শক্তি প্রদর্শনে তৎপর বিজেপি। এদিকে আবার পালটা অমিত শাহের সভার প্রতিবাদে ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বার্তা তুলে ধরতে বিশেষ কর্মসূচি জোড়াফুল শিবিরের। এই সভার প্রতিবাদে বুধবার বিধানসভায় কালো পোশাক পরে ধরনায় বসবে তৃণমূল। এই সভার দিনই পালটা ‘কালা দিবস’ পালন করবে তৃণমূল। তবে মঙ্গলবার বিজেপির ২৯ নভেম্বরের জনসভা এবং শাহের কলকাতায় আসা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিমকে।
লোকসভা ভোটের দামামা বাজার আগেই ফের রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ। সেই প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এদিন থেকেই বিধানসভা প্রাঙ্গণে ধরনা জোড়াফুলের। বুধবার ও বৃহস্পতিবারও চলবে এই ধরনা। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত ও শুভেন্দু অধিকারীকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, ‘কে গব্বর সিং আসছে, মমতার জয় বীরুও তৈরি আছে। এদের পায়ের তলার কোনও জমি নেই। এরা নিজেদের সংগঠন চালাতে পারে না। এবার অমিত শাহ আসবে। মোদি ও অমিত শাহ একুশে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেও কিছু করতে পারেননি। এবার একা অমিত শাহ আসবেন।’
আদালতের সবুজ সংকেত পেতেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয় বিজেপির। জেলায় জেলায় সভায় জমায়েতে আহ্বান জানাতে প্রচার সভা থেকে হয় খুঁটি পুজোও। জানা গিয়েছে, বুধবার সভায় যোগ দিতে আসা দলীয় কর্মী সমর্থকদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা রয়েছে। শাহি সভার জমায়েত একুশের জমায়েতকে টেক্কা দিতে পারে কি না সেটাই দেখার।
তবে তার আগেই শাহি সভাকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবার রাজ্য়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দুর্নীতি ইস্যুতে মুলতবি প্রস্তাব শুধু পড়তে দেওয়া হয়। তা নিয়ে আলোচনার অনুমতি না দেওয়ায় স্পিকারের সামনেই অধিবেশনের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বাকিরা চোর স্লোগান দিতে থাকে। এর পরই অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন তাঁরা। অধিবেশন কক্ষের বাইরেও স্পিকার যখন সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আবারও চোর স্লোগান দেওয়া হয়। সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিকে এপ্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। যারা এরকম মুলতুবি প্রস্তাব আনছে, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন এটা কি আদৌও উচিত?’ তবে ধর্মতলার সভার আগেই এদিন বিধানসভা থেকে পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ডেড শুভেন্দু অধিকারী।