২০১৯ সালের রেকর্ড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও এ রাজ্য থেকে সংসদের যাচ্ছেন ৪২ জন। যার মধ্যে তৃণমূলের ২৯। এদিকে আবার যে ২৯ জন সংসদে পা রাখবেন তাঁর মধ্যে রয়েছেন নতুন -পুরনো অনেকেই। যেমন একাধিক নতুন মুখের চমক রয়েছে, একইভাবে রয়েছে পুরনো মুখও। আবার এই ২৯ জনের মধ্যে ১১জন নারী। এককথায় নারী ব্রিগেড তৃণমূলের।
লোকসভা, বিধানসভা থেকে পুরসভা বা পঞ্চায়েত- নির্বাচন যে স্তরেরই হোক না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হিসাবে সবসময়ই এগিয়ে রাখেন মহিলাদের। রাজ্যসভাতেও তাঁর মহিলা প্রতিনিধি একাধিক। এর অন্যথা হয়নি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও। তবে ২০২৪-এর এই নারী ব্রিগেডের সবথেকে বড় চমক, মহুয়া মৈত্র। যাঁকে ঠিক ভোটের মুখে বহিষ্কার করা হয়েছিল সংসদ থেকে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের সংসদভবনে পা রাখতে চলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
এর পাশাপাশি সামনে উঠে আসছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষের নামও। ২০১৯ সালে দু’বারের তৃণমূল সাংসদ রত্না দে নাগকে হারিয়ে লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বিজেপিকে উপহার দিয়েছিলেন হুগলি। রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বঙ্গ রাজনীতিতে পা রেখেই ওই কেন্দ্র মমতার হাতে ফের তুলে দিলেন রচনা। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থী করেছিল অগ্নিমিত্রা পালকে। জুন মালিয়া বিজেপির সেই আসনে জিতে উপহার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। সায়নী ঘোষ যাদবপুরের সাংসদ হয়েছেন। সাংদ হয়েছেন আরামবাগের মিতালি বাগ। যাঁকে প্রার্থী করা নিয়েই দলের মধ্যে তৈরি হয়েছিল অসন্তোষ। তবে মিতালির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এছাড়াও রয়েছেন বর্ধমান পূর্বের শর্মিলা সরকার। এর সঙ্গে পুরনো মুখ বলতে মালা রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডলেরা।
এবার বাংলা থেকে যে ১১ জন মহিলা যাচ্ছেন সংসদে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন, কৃষ্ণনগরের মহুয়া মৈত্র, কলকাতা দক্ষিণে মালা রায়, বারাসতের কাকলি ঘোষ দস্তিদার, উলুবেড়িয়ার সাজদা আহমেদ, বীরভূমের শতাব্দী রায়, জয়নগরের প্রতিমা মণ্ডল, যাদবপুরের সায়নী ঘোষ, বর্ধমান পূর্বের শর্মিলা সরকার, মেদিনীপুরের জুন মালিয়া, হুগলির রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগের মিতালি বাগ।