শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণাঙ্কুর সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কার আশীর্বাদের হাত তৃণাঙ্কুরের মাথায় আছে যে কারণে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তিনি এখনও রয়েছেন তা নিয়েই। এই প্রশ্নের জবাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিতে দেখা গেল টিএমসিপির সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ডোমজুড় উৎসবের মঞ্চ থেকে তৃণাঙ্কুরকে নিশানা করেন কল্যাণ। আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হয়। এই নিয়ে টিএমসিপি সভাপতিকে আক্রমণ করেন কল্যাণ। শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, ‘টিএমসিপি–র এতগুলো ছেলে সাসপেন্ড হয়ে গেল, আর টিএমসিপির সভাপতির মুখ থেকে কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে যে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে?’
একই দলের একজন সাংসদ প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দলের ছাত্র সংগঠনের সভাপতির বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করার বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড় হয়। রবিবার থেকে এই নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেননি তৃণাঙ্কুর। তিনি মুখ না খুললেও রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাসপেন্ডেড নেত্রী রাজন্যা হালদার কটাক্ষ করেন তৃণাঙ্কুরকে। টিএমসিপি–র সাসপেন্ডেড সহসভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল।এত কিছুর পরও নীরব ছিলেন তৃণাঙ্কুর। কল্যাণের মন্তব্য নিয়ে সম্পর্কে বললেন, ‘দল নিশ্চিতভাবে হিসাব রাখছে। বিচার করবে। দিদি আছেন, অভিষেকদা আছেন। আমি এমন কিছু বলতে চাই না, যাতে দল বদনাম হবে। আমি দলের একজন অনুগত সৈনিক। আমি চাইব, তিনি ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।’