সামশেরগঞ্জে বাবা- ছেলেকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা হল কালু নাদাব এবং দিলদার নাবাব। এরা সম্পর্কে ভাই। এই খুনের সঙ্গে এরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দিলদারকে গ্রেফতার করা হয় সুতি থানা এলাকার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে। অন্যদিকে কালুকে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের মুরারই থেকে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। এদিকে রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ এপ্রিল ধুলিয়ানে যখন অশান্তি চলছিল, তখন জাফরাবাদে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে  দু’জনকে গ্রেফতার করা  হয়। একইসঙ্গে এই মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠিত হয়েছে। সিটে স্থানীয় পুলিশ, জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, এসটিএফ এবং আইবি-র অভিজ্ঞ অফিসাররা থাকছেন। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে,  ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদ। পুলিশ বলছে, আগের থেকে অবস্থা অনেক ভাল। পুলিশের সঙ্গে এখনও টহল দিচ্ছে আধা সেনা,বিএসএফ। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে গুজবের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে তাঁদের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১০৯৩টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লকও করা হয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার অশান্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। সেখানকার সামশেরগঞ্জে বাড়ি থেকে বাবা-ছেলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই গ্রেফতারি।
মঙ্গলবার এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানান, ‘হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস, যাঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে তাঁদের খুন করা হয়েছিল। এই মামলার তদন্তে আমরা বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করি। গত দু’দিনে এলাকা থেকে বিস্তারিত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখি। এবং বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই।’ একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘যারা খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদেরও চিহ্নিত করি। সোমবার অভিযান চালিয়ে দু’জন দুষ্কৃতীকে আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি। যারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। ঘটনায় একজনকে বীরভূম ও অন্যজনকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছি।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সামশেরগঞ্জে দুষ্কৃতীর দল মৃতদের বাড়িতে হানা দেয়। লুটপাটের উদ্দেশ্যে বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে থাকে তারা। সেই সময় বাবা-ছেলে বাধা দিতে গেলে, তাঁদের কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। দেহ দু’টি ফরাক্কা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে। পরিবারে তরফে অভিযোগ করা হয়, বারবার পুলিশকে ফোন করলেও কাউকে সাহায্যের জন্য ফোনে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =