দুই বিজেপি সাংসদ যোগ দিতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২১ জুলাই তাঁরা মঞ্চে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই জানেন৷ ওই দুই সাংসদ সদ্য জিতে আসা। তাই দলবিরোধী আইন দেখা হচ্ছে৷ তাদের আপাতত বলা হয়েছে বিজেপিতে থেকে ভেতরের খবর দিতে৷ এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কুণাল আরও জানিয়েছেন, ”অনেক বিধায়ক যোগ দিতে চাইছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখছেন। সময় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারিখ অনেক পড়ে আছে।” সঙ্গে এও জানান, ‘যেহেতু ওরা সদ্য জিতে আসা সাংসদ, তাই তাঁদের মেয়াদ এখনও অনেকদিন। বিজেপির হাতে স্পিকার। ফলে তাঁদের সদস্য পদ নিয়ে কী করবে এটা ভেবেই তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না। ওদের বলা হয়েছে আপাতত বিজেপিতেই থাকো। ভিতরে যা যা হবে, মিটিং, মিছিলে যা যা হবে জানাতে থাকো। তারপর দেখছি।’ এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের মতো নেতাকে। দলে তাঁর কী অবস্থান তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না! কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলে না বলেও খানিক হতাশাও প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে বিজেপির ১০ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে অভিষেক এও বলেছিলেন, বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন। এটাই স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল বিজেপির। অভিষেক জানিয়েছিলেন, ‘বিজেপির এখনও ১০ জন এমএলএ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সঠিক সময়ে দরজা খুলব। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, বিজেপি দলটাকে বাংলা থেকে তুলে দেব।’ এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। এবার বিজেপি সাংসদরাও তৃণমূলে আসতে চলেছেন বলে দাবি কুণালের।
যদিও কুণালের মন্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার তো সাফ বলেই দিলেন, “আগে একুশে জুলাই পার হোক তারপর আমরা দেখব।”