দু’দিন পেরিয়ে গেলেও হুগলির কোন্নগরে শিশু খুনের ঘটনায় রহস্য অধরাই। গ্রেফতার করা যায়নি কাইকেই। এদিকে রবিবার নমুনা সংগ্রহ করল ফরেনসিক টিম। এদিন দুই সদস্যের ফরেনসিক দল বেলা একটা নাগাদ শিশুর বাড়িতে পৌঁছয়। এক ঘন্টা ধরে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে তারা। এরপর বেরনোর সময় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অভিজিত মান্ডি বলেন, ‘রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করলে অনেক রক্তপাত হয়। সেই ধরনের রক্তপাত দেখা গিয়েছে।তবে পুলিশের তদন্তে আস্থা রাখলেও এবার সিআইডি তদন্তের আবেদন জানানো হয় মৃত শিশুর পরিবারের তরফ থেকে।
এদিকে শিশুর বাবা পঙ্কজ শর্মা জানান, ‘ফরেনসিক টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করেছে। আমাদের কাউকে ঢুকতে দেয়নি। ছেলের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে গিয়েছে। আমি পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব, বিষয়টা যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। এখনও পর্যন্ত ভালোই কাজ করছে। আশা করব কয়েকদিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত দেখব। পুলিশের তদন্তে আস্থা আছে। তবে সিআইডি তদন্ত হলে ভালো হত।’ এদিকে এখনও আততায়ীর কোনও খোঁজ পায়নি চন্দননগর পুলিশ কমিশারেট। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় শুক্লা বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত পুলিশ অন্ধকারে রয়েছে। খুনের কারণ বোঝা যাচ্ছে না। আমরা চাইব পুলিশ প্রশাসন তাড়াতাড়ি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক। যে দোষী তার শাস্তি চাই।’
প্রসঙ্গত, আট বছরের বালক শ্রেয়াংশু শর্মার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কোন্নগর কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদর্শ নগরে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটার দিন সন্ধ্যায় ওই বালক ঘরে টিভি দেখছিল। তার খুড়তুতো দিদি ঘরে ঢুকে দেখেন যে রক্তাক্ত অবস্থায় ভাই পড়ে রয়েছে। পাড়া প্রতিবেশীদের ডেকে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। জানা যায়, বালকের বাবা পঙ্কজ শর্মা কলকতায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। ঘটনার সময় মা-বাবা দুজনই বাইরে ছিলেন। এদিকে প্রতিবেশীরা জানান, তাঁরা ওই বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেখেননি।