মেট্রোর জন্য এল দু’টি নতুন রেক

মেট্রোর জন্য এল আরও দুটি নতুন রেক। কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার নোয়াপাড়া কারশেডে পৌঁছল এমআর-৫০৪ এবং এমআর-৫১২ দুটি রেক। এগুলি ডালিয়ান রেক নামে পরিচিত। গত ১৪ জানুয়ারি এই রেকগুলি বিশ্ব দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। সূত্রে খবর, গত ১২ জানুয়ারি একটি জাহাজে (ভায়োলেট এস) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরে পৌঁছয় রেকগুলি। একটি ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে নোয়াপাড়া কারশেডে পাঠানো হয় সেগুলিকে। মোট ১৬টি কোচ জাহাজ থেকে নামানো হয়। বর্তমানে কলকাতা মেট্রোয় চলাচল করে মোট ৩টি ডালিয়ান রেক। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যাত্রী পরিষেবার জন্য নামানো হবে সেগুলি।

এই রেকগুলি যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত আরামদায়ক হবে। থাকছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যও। এই রেকগুলির দরজা অনেক চওড়া। বর্তমানে যে রেকগুলি চলে, তার তুলনায় ১৯০ মিলিমিটার চওড়া এই নতুন রেকের দরজা। বসার জায়গাও আগের তুলনায় বেশি। রয়েছে উন্নত এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেম, শব্দ কমানোর ব্যবস্থা। রেলের মধ্যে থাকা আলোও চোখের জন্য আরামদায়ক।

নতুন এমআর-৫০৪ এবং এমআর-৫১২-র বৈশিষ্ট্য হল,

১. দরজা চওড়া হওয়ায় যাত্রীদের ওঠা-নামার সুবিধা হবে।

২. ঝাঁকুনি অনুভব করতে পারবেন না যাত্রীরা।

৩. কোচের অভ্যন্তরে সিসিটিভি কভারেজ থাকবে।

৪. প্রবীণ নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বসার জায়গা আরও বাড়ানো হচ্ছে।

৫. থাকছে উন্নত এয়ার ডিফিউজার, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এসি।

৬. ছোট এবং মসৃণ অ্যালার্ম ডিভাইস রাখা থাকবে কোচে।

৭. হুইল চেয়ার পার্কিং-এর সুবিধা থাকছে।

৮. বহুবর্ণের বহুভাষিক ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে, যাতে কোনও যাত্রীর স্টেশনের নাম বুঝতে অসুবিধা না হয়।

৯. এই রেকে রয়েছে রেইন ওয়াটার চ্যানেল, স্টেইনলেস স্টিলের বডি।

১০. সাইড স্টপার সহ উন্নত ডোর চ্যানেল।

সুরক্ষার জন্যও এই সব রেকে থাকছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য। কোনও কারণে আটকে পড়লে যাত্রীদের উদ্ধারে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য রয়েছে চওড়া ইভাকুয়েশন ডোর, ইভাকুয়েশন র‌্যাম্প। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাও অনেক উন্নত।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − two =