বাকিবুর রহমানের দুই আত্মীয় আলিফ নূর ও আনিসুর রহমান যারা সম্পর্কে দুই ভাই বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে দেখা যায় ইডির দফতরে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের তল্লাশি অভিযানে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। আলিফের বাড়ি থেকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা ও চাল কল অফিস থেকে ১৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়।ফলে শুধু বারিক বিশ্বাসই নন, বাকিবুর রহমানের দুই আত্মীয় আলিফ নূর ও আনিসুর রহমান যারা সম্পর্কে দুই ভাই, তাদের ব্যবসা ও লেনদেন ইডির স্ক্যানারে। এরপরই দুই ভাই আলিফ ও আনিসুরকে বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়। শুক্রবার তলব করা হয়েছে বারিক বিশ্বাসকে।
এদিকে রেশন দুর্নীতিতে ফের সামনে আসছে দুবাই যোগের তত্ত্ব। প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতির টাকা ঘুর পথে কি বারিক বিশ্বাস দুবাইয়ে লগ্নি করেছিলেন কি না তা নিয়েই। কারণ, তদন্তে নেমে এখন এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকদের মনে। ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত মঙ্গলবার একযোগে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ইডির তরফে। ওই দিন বারিক বিশ্বাসের ফ্ল্যাট ও অফিসেও অভিযান চলে। ইডি সূত্রের খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বারিক বিশ্বাসের অফিস থেকে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি কর্তারা। এই সমস্ত নথির মধ্যেই বারিক বিশ্বাসের দুবাইয়ের সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি মিলেছে। এছাড়া, দুবাইয়ে তাঁর নামে থাকা একটি সংস্থারও হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। এই কারণেই ইডি আধিকারিকদের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছে যে, বাকিবুর রহমানের মতো বারিক বিশ্বাসও দুবাইয়ে রেশন দুর্নীতির টাকা লগ্নি করে থাকতে পারেন। এছাড়াও, ওই সকল নথির মধ্যে ২২টি সম্পত্তির নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি ইডির। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ১৫টির বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট। যা ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর।