র্যাগিং রুখতে এবার বদ্ধপরিকর ইউজিসি। আর সেই কারণেই আনা হল আরও বেশ কিছু নিয়ম। শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই র্যাগিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়েছে ইউজিসি। র্যাগিং রুখতে এই নয়া নির্দেশ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই চিঠিতে।
এই চিঠিতে ইউজিসির তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রথম বর্ষের ছাত্র–ছাত্রীদের হয়রানি করলে সেটাও র্যাগিং বলে গণ্য করা হবে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি, চুল কাটাতে বাধ্য করা, মৌখিক অপব্যবহার, হস্টেলে রাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে ছাত্র–ছাত্রীদের জাগিয়ে রাখা, বয়কটের হুমকি দেওয়া, বারবার ছাত্র–ছাত্রীদের নাম বা পরিচয় জানার চেষ্টা করা, বলপূর্বক কোনও পোশাক–বিধি চাপিয়ে দেওয়াও এবার র্যাগিং বলেই গণ্য করা হবে।
২০২৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। অভিযোগ, হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার পর বিস্তর জলঘোলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে বাড়িয়ে দেওয়া হয় নজরদারি। একাধিক সিনিয়র ছাত্রকে ব়্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। এরপর চলতি বছর মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস’ বিভাগের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ, তাঁর বিভাগেরই দুই গবেষক পড়ুয়া তাঁকে হেনস্থা করেছে, থাপ্পড়ও মারা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় ওই ছাত্র।