লোডশেডিং-এ গরম সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালের বাইরে রাত কাটালেন রোগীরা

লোডশেডিংয়ের জেরে অসহ্য গরম সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালের বাইরে রাত কাটাতে হল রোগীদের, এমনই দৃশ্য নজরে এল ‌আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের যশোরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। লোডশেডিংয়ের কারণে রাত ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে হাসপাতালের বাইরে বসে রাত কাটান রোগীরা।

অথচ, এক সময় কায়াকল্প প্রকল্পের অধীনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে যশোডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর মোটা অংকের অনুদানও মেল হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য। কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে একটি জেনারেটরও কেনা হয়। ‌এমনকি জেনারেটর রাখার জন্য ঘর তৈরি হয়েছিল আরও কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে। কিন্তু সেই বহুমূল্য জেনারেটর লোডশেডিং থাকলেও চলছে না। যশোডাঙা গ্রামের হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই জেনারেটর চালানো হলে নাকি ঘণ্টায় ৬ লিটার তেল খরচ হয়।‌ অসম্ভব খরচের কারণে জেনারেটর থাকতেও তা ব্যবহার করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে প্রচণ্ড গরমে হতাশ হয়ে হাসপাতালের বাইরে বসেই রাত কাটান রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার মধ্যরাত ১ টা বেজে গেলেও এলাকায় লোডশেডিং অব্যাহত ছিল। এদিকে এই ঘটনা জানাতে রবিবার রাতে জেনারেটরের বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হতে শুরু করে। বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের ফোন করা হলেও তাঁরাও ফোন তোলেননি বলে অভিযোগ। ‌ফলে এক কথায় এই গরমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সমস্যায় পড়েন চিকিৎসারত রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 3 =