সোদপুরের নাটাগড়ে ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে এও জানা গেছে, বাড়িতে আর কেউ থাকে না ফলে কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দম্পতির নাম শেখর সামন্ত (৬৫) মনিকা সামন্ত (৫৭)। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। পরিবারের বাকি সদস্যরা একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। রাতে ঘরে ঢুকলে তাঁদের ঝুলন্ত মৃতদেহ প্রথম দেখে দম্পতির ভাইপো । তাঁর ডাকাডাকিতে ছুটে আসেন সকলে। এদিকে পারিবারিক সূত্রে এও জানা গিয়েছে, আর্থিক সমস্যা ছিল না দম্পতির। প্রৌঢ়া নার্ভের মেডিসিন খেতেন। কোনও মানসিক চাপে আত্মহত্যা নাকি ফাঁকা বাড়ির সুযোগে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আত্মহত্যা হলে কেন তাঁরা এই পথ বেছে নিলেন বুঝতে পারছেন না কেউই। মৃতের ভাই জানান, ‘সম্পত্তি লোভে কেউ খুন করে ওঁদের ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিশের তদন্তের উপর আমাদের আস্থা আছে।’
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সোদপুরের ওই এলাকায় থাকতেন দম্পতি। ঘটনার খবর জানতে পেরে অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। এক প্রতিবেশি জানান,’স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। সবার সঙ্গে সুসম্পর্কও ছিল। কীভাবে হল বুঝতে পারছি না। সকালে খবর পেলাম। পারিবারিক অশান্তিও ছিল না। সকলেই মিলে-মিশে থাকতেন।’
এদিকে ঘোলা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন ওই দম্পতি। এই ঘটনার পিছনে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ আছে কী না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই খবর।