ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হল আন্দোলনকারী এক চাকরিহারা শিক্ষকের। নাম প্রবীণ কর্মকার। তিনি অমুইপাড়া উদ্বাস্তু বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৬ সালের প্যানেলে নাম ছিল তাঁর। এত বছর চাকরি করেছেন রঘুনাথগঞ্জের হরিদাসনগরের বাসিন্দা প্রবীণ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক লহমায় চাকরি গিয়েছে তাঁরও। আর সেই কারণেই ১৯ হাজার শিক্ষকের মতো তিনিও আন্দোলনে সামিল ছিলেন। এই ঘটনা সামনে আসার পর শোকপ্রকাশ করে নিজেরই একটি পোস্ট শেয়ার করতেও দেখা যায় চাকরিহারাদের। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের দাবি,’ সরকারকে সহানুভূতিশীল হতে হবে,না হলে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের লাশের স্তূপে পরিণত হবে বাংলা।’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন প্রবীণ। বুধবার হঠাৎ-ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন,সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতেই হবে রাজ্যকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় আরও নতুন করে মানসিক চাপ বাড়ে চাকরিহারাদের। এদিকে এতদিন শিক্ষকতা করার পর নতুন করে নিজেদের যোগ্যতা ফের প্রমাণ করতে নারাজ তাঁরা। সেই কারণেই নতুন করে পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রেও যে তাঁদের প্রবল অসম্মতি রয়েছে তাও জানাতে তাঁরা ভোলেননি। এই সব ইস্যুকে কেন্দ্র করে চাকরিহারাদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়েছে। এরই মধ্যে প্রবীণের এমন অকালমৃত্যু নিঃসন্দেহে তাদের কাছে একটা বড় ধাক্কা।