দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের এক নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল যুবকের রক্তাক্ত দেহ। শুক্রবার সকালে দেহটি উদ্ধার হয়। এলাকার স্থানীয়দের প্রথমে নজরে আসে এই ঘটনা। এরপরই খবর দেওয়া হয় গলফগ্রিন থানায়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি খুনের ঘটনা। তবে সবটাই তদন্তসাপেক্ষ। ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
তবে স্থানীরা জানান, সকাল থেকে অনেকেই এসেছেন। তবে ছেলেটিকে কেউই শনাক্ত করতে পারেননি। তাঁদের অনুমান, বাইরে থেকে মেরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে দেহটি। তবে পুলিশ দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পাশাপাশি এ খবরও মিলেছে, যেখানে বাড়িটি তৈরি হচ্ছে, তার পাশেই বাড়ি টুমা দাসদের। টুমাদেবী এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, তাঁর স্বামী ভোর ৫টা নাগাদ বের হন। ফলে বৃহস্পতিবার রাতভর জেগেই ছিলেন তিনি। গভীর রাত অবধি বারান্দাতেও বসেছিলেন। আর সামনেই রাস্তা। কোনওরকম আওয়াজ বা আশেপাশে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি তিনি। এমনকী বাইরের কোনও লোক এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয়সারমেয় দল যে বাবে জানান দেয় তাও কিছু কানে আসেনি তাঁর। একইসঙ্গে টুমা দাসের সংযোজন, ‘সকালে আমার স্বামী এসে জানান আমাদের ঘরের পিছনে একজন পড়ে আছেন। এরপর এসে দেখি দেহ পড়ে আছে। হাফ প্যান্ট পরা। মাথা, মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।‘
ফলে সব মিলিয়ে ধন্দ্বে এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের কথায়, যে বাড়িটি তৈরি হচ্ছে, দিনভর মিস্ত্রি সেখানে কাজ করছেন। রাতে ৩-৪ জন এখানেই থাকেন। কেউ কোনওরকম আওয়াজটুকু পেল না, অথচ এভাবে একটা দেহ পড়ে রাস্তায় পড়ে থাকল। এদিকে বিজয়গড় থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সঙ্গে যুবকের পরিচয় জানারও চেষ্টা চলছে।