সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ-ই অসুস্থ হয়ে পড়লেন কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। নাক দিয়ে গলগল করে ঝরল রক্ত। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক থামিয়ে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হাসপাতালে রওনা হন জেডিএস নেতা। আচমকা কুমারস্বামী অসুস্থ হয়ে পড়ায় শোরগোল পড়ে যায় দলের অন্দরে। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কুমারস্বামীকে।
তৃতীয় মোদি সরকারে ভারী শিল্প ও ইস্পাত দফতরের দায়িত্ব নিয়েছেন কুমারস্বামী। রবিবার কর্নাটকের শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ও দফতরের কয়েকটি একটি বিষয় নিয়ে বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কুমারস্বামী। ছিলেন বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পাও। হঠাৎ সেই সময় দেখা যায় কুমারস্বামীর নাক থেক রক্ত ঝরছে। সামনে এসেছে ঘটনার ভিডিয়ো। প্রথমে বিষয়টি ঠাওর করতে পারেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপরই নজরে আসে ঘটনা। পকেট থেকে রুমাল বের করে নাকে চেপে ধরেন। সাংবাদিক বৈঠকের ভার ইয়েদুরাপ্পাকে দিয়ে সেখান থেকে গাড়িতে চড়ে বেরিয়ে যান জেডিএস নেতা।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নাকে রুমাল চেপে বেঙ্গালুরুর জয়নগর এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন কুমারস্বাামী। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। তবে কী কারণে আচমকা তাঁর নাক রক্ত ঝরেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে কুমারস্বামীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। এর আগে দু’বার স্ট্রোক হয়েছিল নেতার। এই ঘটনায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে অনুগামীদের মধ্যে চিন্তা বেড়েছে। জানা গিয়েছে, শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছরের মার্চ মাসে চেন্নাইয়ের অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কুমারস্বামীকে। এর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একই ধরনের সমস্যা হয়েছিল।
বাবার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে অনুগামীদের আশ্বস্ত করেছেন কুমারস্বামীর ছেলে নিখিল কুমারস্বামী। জানিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। চিকিৎসদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, কয়েক দিন একটানা রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল তাঁর বাবার। সেভাবে বিশ্রামের সুযোগ পাননি। সেই কারণেই হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।