যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাম–নবমী পালন করতে চেয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ । তবে কর্তৃপক্ষের তরফে সরাসরি ক্যাম্পাসের ভিতরে রাম–নবমী পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় এবিভিপি। তাদের পরিষ্কার দাবি, রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় তারা রাম–নবমী পালন করবেই।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাম–নবমী পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দারি হওয়ায় তা নিযে একধিক প্রশ্নও তোলা হয অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফ থেকে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছোট করে আরাধ্য দেবতা শ্রী রামচন্দ্রের একটা আরাধনা করব। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তো আর পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ইফতার হতে পারে, যদি সরস্বতী পুজোর মতো বিভিন্ন উৎসব ধুমধাম করে পালিত হতে পারে, তাহলে রামনবমী নয কেন?’ এরই পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের এই একপেশে সিদ্ধান্ত যে নেবে তা আমরা অনেক আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম।’
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও কর্তৃপক্ষ নেই। যে অস্থায়ী উপাচার্য ছিলেন, তাঁকেও আচার্য সিভি আনন্দ বোস সরিয়ে দিয়েছেন। ফলত, উপাচার্য না থাকার জন্য এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠান পালন করা যাবে না। এই মর্মে একটি রেজুলিউশনও পাস করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে সহ উপাচার্য, ডিন–দের সই রয়েছে।
যদিও, এবিভিপি এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। তাদের দাবি, উপাচার্য না থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ হচ্ছে। তাহলে রাম–নবমী পালনে অনীহা কেন তা নিয়েই প্রশ্ন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের। উল্লেখ্য, এর আগে রাম–মন্দিরের ভূমি পুজোর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করতে চেয়েছিল এবিভিপি। কিন্তু সেই সময় কর্তৃপক্ষ তা করতে দেয়নি। সেই সময়ও এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।